অনলাইন ডেস্ক:
অবশেষে দুঃস্বপ্নের গুহা থেকে মুক্তি মিলল। মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিল থাই খুদে ফুটবলাররা। থাইল্যান্ডের জলমগ্ন গুহা থাম লুয়াংয়ের চার কিলোমিটার ভেতরে দুই সপ্তাহ আটকে থাকার পর রোববার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে সন্ধ্যা নাগাদ প্রথমে দুই কিশোরকে বাইরে বের করে আনেন উদ্ধারকারীরা। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করে থাই রয়্যাল নেভি। এর পর রাতের জন্য স্থগিত করা হয় উদ্ধার অভিযান। ১০-১২ ঘণ্টা পরই ফের তা শুরু হওয়ার কথা।
১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে ঝুঁকি নিয়েই সকাল ১০টার দিকে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। দক্ষ দেশি-বিদেশি ১৩ ডুবুরিসহ ১৮ জন ঢোকেন গুহার ভেতরে। গুহার বাইরে অপেক্ষায় থাকেন স্বজনরা। প্রস্তুত রাখা হয় ট্রলি, অ্যাম্বুলেন্স, আসে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার। অভিযান চলাকালে মানবিক কারণেই উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে থাইল্যান্ডবাসীর। আর এ উদ্ধার অভিযানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারাবিশ্ব।
গত ২৩ জুন বেড়াতে গিয়ে সেখানে আটকে পড়ে ১২ কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচ। তারা গুহায় ঢোকার পর হঠাৎ ভারী বৃষ্টি এবং এতে সৃষ্ট বন্যায় ডুবে যায় গুহামুখ। ভেতরেও ঢুকে পড়ে পানি।
বন্যার পানিতে আটকে যাওয়া গুহার যে শুকনো উঁচু জায়গাটিতে গত দু সপ্তাহ ধরে এই দলটি আশ্রয় নিয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে ১৮ জন অভিজ্ঞ ডুবুরি কাজ করছে।
একেকজন কিশোরকে দুই জন করে ডুবুরি তাদের তত্বাবধানে বের করে আনছেন। পুরো পথ পার হতে তাদের অন্তত ছয় ঘন্টা করে সময় লাগছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আটকে পড়া ১৩ জনকে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বের করে আনা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু তারা কেন ওই গুহায় গিয়েছিল সেই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। ১২ জন কিশোর ফুটবলার তাদের টিমের কোচসহ গুহার ভেতরে গিয়েছিল জুন মাসের ২৩ তারিখ।
কিশোর ছেলেরা ফুটবল প্র্যাকটিস করতে সকাল দশটার দিকে ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিল। তারপর কী হয়েছিল তারা এখনো কেউ জানে না। গুহার প্রবেশ-মুখের সামনে ১১টি সাইকেল রাখা দেখতে পান নাঙ্গনন ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মী।
তারপর ওই কর্মী কিশোরদের একজনের পিতামাতাও ন্যাশনাল পার্কের কর্মকর্তাদের জানান যে তারাও তাদের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
তবে, ধারণা করা হচ্ছে প্র্যাকটিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুটবলের দলের একজন সদস্যের জন্যে সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল।
Leave a Reply