(মাহফুজ বাবু, কুমিল্লা)
কঠোর নিরাপত্তায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমনওয়েলথভূক্ত বিভিন্ন দেশের নিহত সৈনিকদের সমাধি ক্ষেত্র কুমিল্লার ‘ময়নামতি ওয়ার সিমেট্টি’তে শুক্রবার সকালে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিগণ। এসময় সেখানে সৈনিকদেও করুণ বিউগলের সুর বেজানো সহ সশস্ত্র সালাম প্রদান করা হয়।
কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ৯ নভেম্বর কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশের ফরিজপুর এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধি ক্ষেত্র ‘ময়নামতি ওয়ার সিমেট্টি’তে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কমনওয়েলথভূক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধিরা।
শুক্রবারও দিবসটিকে স্মরণে রেখে ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার কানভের নেতৃত্বে বাংলাদেশসহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদুত ও প্রতিনিধিরা ময়নামতি ওয়ার সিমেট্টিতে আসেন। এসময় তারা নিহতদের স্মরণে সমাধির পশ্চিম পাশে ক্রুশবিদ্ধ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে দাড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। তখন ময়নামতি সেনানিবাসের একদল চৌকষ সৈনিকের বিউগলের সুর বেজে উঠে। পওে তারা ওয়ার সিমেট্টি ঘুরে দেখেন।
উপস্থিত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা হলেন , জার্মানের রাষ্ট্রদূত পিটার তাহরু হলতি, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি এনিক বাউরদিন, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরুইয়াসু ইজুমি, অষ্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিবলেট, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনয়িট প্রিফনটেইন, শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত ক্রিশান্তি ডি সিলভা, আমেরিকান দূতাবাসের প্রতিনিধি জুয়েল রিফম্যান, ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জে এস চিমাসহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল তাবরেজ আহমেদ শামস চৌধুরী, এনডিসি- পিএসসি, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও জেলা পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম-বিপিএম (বার) পিপিএম।
এছাড়াও বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদও সার্কেল তানভীর সালেহীন ইমন,বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ,দেবপুর ফাড়ি’র আইসি আবু ইউসুফ ফসিইজ্জামান সহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭৩৮ জন সৈনিককে ময়নামতির এ যুদ্ধ সমাধিতে সমাহিত করা হয়। অবশ্যই এখান থেকে একজন সৈনিকের মৃতদেহ পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে তার পরিবারের সদস্যরা আমেরিকায় নিয়ে যায়।
Leave a Reply