( জাগো কুমিল্লা.কম)
বছর ঘুরে আবারো ফিরে এলো খুশির ঈদ। শৈশব কৈশোরের ঈদ উদযাপন করার আনন্দ প্রতিটা মানুষের কাছে একেবারে অতুলনীয় ছিল।কুমিল্লা (দ:) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসিন শৈশবের ঈদ উদযাপনের স্মৃতি রোমন্থন নিয়ে লিখেছেন মাহফুজ নান্টু:
ছোটবেলার ঈদের আনন্দ এক রকম এখন সে আনন্দটার ধরন আরেক রকম। আমরা ছোট বেলায় ঈদের নামাজে যেতাম। তারপর ঈদের নামাজ থেকে এসে নানুর বাড়ি ও বড় বোনের বাড়ি যেতাম। ছোট বেলার ঈদের সময় নানুর বাড়ি আর বোনের বাড়ি বেড়ানোটা ছিল প্রধান আকর্ষণ। কারণ আমি নাতি হিসেবে অনেক বেশি আদর পেয়েছি। আর বড় বোনের বাড়িতে যেতাম, দুলা ভাইয়ের কাছ থেকে সালামি নিতাম। বেশ মজার ছিল শৈশবের ঈদ।
আমাদের শৈশবে ঈদের আগে মক্তবে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে সুরা শেখানো হতো। আর ঈদগাহে গিয়ে সুরা পড়া ছিলো আমার কাছে অন্যরকম আনন্দের। আমরা সুরা শিখতাম ঈদের দিন ঈদের নামাজের আগে তেলোয়াত করার জন্য। আমাদের শৈশবে ঈদের সময় ঈদগাহে সুরা তেলোয়াত করাটা একটা আনন্দের বিষয় ছিলো।
ওই সময়ে ঈদগাহের পাশে রঙিন কাগজের টুপি বিক্রি হতো। এক আনার মতো দাম ছিলো। একবার ঈদের দিন ঈদগাহে ঈদের জামাতের আগে আমি সুরা তেলোয়াতের জন্য যেই মাত্র দাঁড়ালাম, তখনই একটা বাতাসের ঝাপটা আমার মাথার টুপিটাকে ঈদগায়ের পাশে পানিতে টুইটুম্বুর ধানী জমিতে নিয়ে ফেলে।
কাগজের টুপি তাই এটা ভিজে নষ্ট হয়ে গেল। এ ঘটনায় আমার মন খুব খারাপ হয়েছিল। তবে এখন এ ঘটনা মনে পড়লে খুব হাসি পায়।
Leave a Reply