অনলাইন ডেস্ক:
বড় মঞ্চে বড় ইনিংস। গতকাল বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে এমনই অসাধারণ ইনিংসের প্রদর্শনী দেখান তামিম ইকবাল। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংসটিকে রূপ দেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেতে মাত্র ৫০ বল খেলেন তামিম। তাতে ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। এর মধ্য দিয়ে আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন তামিম। পেছনে ফেলেন চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে (৪২৬)। শীর্ষে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা রাইলি রুশো (৫৫৮)।
তামিমের ব্যাটে ভর করে সাকিবদের ২০০ রানের টার্গেট দেয় কুমিল্লা। ৬১ বলে ১০টি চার ও ১১ ছক্কায় ১৪১ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার তামিম। স্ট্রাইক রেট ২৩১.১৪! আর ৬ রান করতে পারলেই ক্রিস গেইলকে টপকে বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড হয়ে যেত তামিমের। গত আসরের ফাইনালে ঢাকার বিপক্ষেই ১৪৬* রানের বিস্ফোরক ইনিংসে রংপুরকে প্রথম শিরোপা জেতান গেইল। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে তামিম-ইমরুলদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকা দলপতি সাকিব আল হাসান। আর শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের ওপর দিয়ে স্টিমরোলার চালান তামিম।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এভিন লুইসকে (৬) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। এরপর ঢাকার বোলারদের কেবল দীর্ঘশ্বাসই দেখা যায়। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ১১তম ওভারে বিজয়কে (২৪) এলবিডব্লিউ করেন সাকিব। পরের ওভারে শামসুর রহমান শুভর (০) রানআউটে কিছুটা ছন্দপতন হলেও কোনো সুযোগ দেননি তামিম। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১০০ রানের জুটিতে মাঠ ছাড়েন তিনি। যেখানে ইমরুলের অবদান মাত্র ১৭ রান। আর নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৯/৩। বিপিএলে এটি তামিমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে তামিমের অন্য সেঞ্চুরিটি আসে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে।
বিপিএলের চলতি আসরে তামিমের আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল ৭৩ রান (খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে)।
লীগপর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে প্লে-অফ পর্বের টিকিট কাটে ঢাকা ডায়নামাইটস। ১২ ম্যাচে ৬ জয় ও ৬ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করে সাকিবের দল। আর শীর্ষস্থানধারী রংপুর রাইডার্সের সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফে ওঠে তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা। এভিন লুইসের ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৭ বল হাতে রেখে ১৬৬ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করে তামিম-ইমরুলের দল।
এলিমিনেটর ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংসকে বিদায় করে ঢাকা ডায়নামাইটস। ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্যটা ২০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় সাকিববাহিনী। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকার কাছে ৫ উইকেটে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নেয় মাশরাফির রংপুর। রুবেলের ৪ উইকেটের নৈপুণ্যে ঝড়ো শুরুর পর ১৪২ রানে অলআউট হয় রংপুর। আর এলিমিনেটরের মতোই ২০ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ডায়নামাইটস।
Leave a Reply