অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপ না জিতে কি আর বিশ্বসেরা তারকা হওয়া যায়? বিশ্বতারকা হতে কি বিশ্বকাপ জিততেই হয়? এমন বিপরীতমুখী প্রশ্ন হরহামেশাই শোনা যায় ফুটবলপ্রেমীদের মুখে। আর তখনই ঘুরে ফিরে আসে মেসি-রোনালদোর নাম। কারণ, গত প্রায় এক যুগ বিশ্ব ফুটবলকে তো এই দুজনই শাসন করেছেন।
তবে নেইমারের হাতে আরও দু-একটি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকলেও রাশিয়াতেই হয়তো মেসি-রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ। অথচ তাদের একজনও সোনার হরিণ সেই বিশ্বকাপের ছোঁয়া পাননি।
ঐতিহ্যগত দিক থেকেই বিশ্বে আর্জেন্টাইন ফুটবল অনেক জনপ্রিয়। তাই তাদের ওপর দুনিয়াব্যাপী ভক্তদের প্রত্যাশাও বেশি। অথচ ১৯৮৬ সালের পর দেশের হয়ে কোনও শিরোপাই জিততে পারেনি দলটি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিরোপা খরায় থাকা আর্জেন্টিনার অনেক তারকাই মনে করছেন- অন্তত ভক্ত-সমর্থকদের জন্য হলেও আর্জেন্টিনার এখন একটি শিরোপা খুব জরুরি।
শুরু হতে যাওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপেই যে আর্জেন্টিনা সেই খরা কাটাবে তা এখনই বলা যায় না। আর্জেন্টিনা যে বিশ্বকাপে ফেবারিট নয় সেটি তো খোদ মেসিই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে ফেবারিটরা বিশ্বকাপ জিততে পারে না বলে মনে করেন সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপ জয়ী মহাতারকা ম্যারাডোনা।
গোল ডটকম তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ম্যারাডোনা মনে করেন, মেসির যোগ্যতা প্রমাণের কিছু নেই। সে শুধু নিজের খেলাটা খেলুক ও মাঠে খেলাটাকে উপভোগ করুক।’
মেসির প্রতি উপদেশ দিয়ে ম্যারাডোনা বলেন, ‘মেসির জন্য আমার উপদেশ থাকবে সে যেন খেলা চালিয়ে যায় ও উপভোগ করে। তার বিশ্বকাপ জেতা না জেতা নিয়ে সমালোচনায় কান দিলে চলবেনা। তার আর কিছু প্রমাণ করার নেই।’
ফেবারিটের তকমা না থাকলেও আর্জেন্টিনার বর্তমান দলটি বিশ্বকাপ জয়ের শক্তি রাখে বলেও মনে করেন ম্যারাডোনা। তার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা আছে। তবে তাদের আমি ফেভারিট বলবোনা। কেননা, ফেভারিটদের ভাগ্যে জয়টা খুব কম ধরা দেয়। কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানিনা। তার খেলার কৌশল কি সেটাও জানি না। অবশ্য আমি এমন কিছু খেলোয়াড়কে চিনি যারা মাঠে সবটুকু উজার করে দিতে চাইবে।’
Leave a Reply