( জাগো কুমিল্লা.কম)
স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ চারমন্ত্রী, সাংসদ ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতারকৃতরা হল একটি সরকারি হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৪৫), চাঁদপুরের সিনিয়র স্টাফ নার্স আবু ইউসুফ (৩৬) এবং বাগেরহাটের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. রুহুল বাসার তালুকদার (৪৫)। গত রোববার রাতে কুমিল্লা ও চাঁদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। স্বল্প মেয়াদে নার্সিং কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোর সময় প্রতারক চক্র স্বাক্ষর জাল করতেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, একটি স্বল্পমেয়াদের কোর্সে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্সিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল। সেই আবেদেন ব্যাপক সাড়াও মেলে। কিন্তু ১৭ ব্যক্তির আবেদনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, রেল, খাদ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর দেখা যায়। ওই ঘটনায় ২০১৭ সালে শেরেবাংলা থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তে নামে সিআইডির একটি টিম। তদন্তে দেখা যায়, ১৭টি আবেদনে যে স্বাক্ষর করা হয়েছিল সেগুলো জাল ছিল।
মোল্যা নজরুল বলেন, আসামিরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে হোসেন বাদশাহ এবং কয়েকজন সচিবের সুপারিশপূর্বক দরখাস্তে জাল স্বাক্ষর করেন। ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী, এমপিদের স্বাক্ষর জালের পাশাপাশি তাদের নাম করে ভুয়া ফোনকলও করতো। তাদেরকে ২০১৭ সালে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের (সিরিয়াস ক্রাইম অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াড) বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াড) রাজিব ফারহান প্রমুখ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: ইনকিলাব
Leave a Reply