(সেলিম চৌধুরী হীরা, লাকসাম)
তুচ্ছ ঘটনায় সৎ মায়ের দেয়া আগুনে ঝলসে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মিনোয়ারা বেগম (২৪) নামের এক যুবতী। সে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশতুয়া ইউপি’র ইসলামপুর গুচ্ছ গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বিকেলে। এ ঘটনায় গত বুধবার মনোহরগঞ্জ থানায় বড় বোন রহিমা বেগম বাদী হয়ে বাবা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমার মা দীর্ঘ ছয় বছর আগে মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন পারুল বেগমকে । সৎ মায়ের সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। গত বুধবার বিকেলে নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক বিল পরিশোধের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সৎ মায়ের সাথে আমার বোনের কথা কাটাকাটি হয়।
এর সূত্র ধরে সৎ মা আমার বোনকে বেদম মারধর করে। এসময় বোন মিনোয়ারার আত্মচিৎকার শুরু করলে তার মুখে কামড় মারে এবং চুলা থেকে জ্বলন্ত লাকড়ির আগুন তার পেটে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে মিনোয়ার তল পেটের বেশকিছু অংশ ঝলসে যায়। এসময় পাশ্ববর্তী লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লাকসাম সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে বড় বোন রহিমা বেগম গত বুধবার সৎ মা পারুল বেগম ও বাবা আবদুর রহিমকে অভিযুক্ত করে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মিনোয়ারা বেগম বলেন, আমার মা দীর্ঘ ছয় বছর আগে মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন পারুল বেগমকে। সৎ মা সংসারে এসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। সৎ মায়ের কু পরামর্শে অল্প বয়সে অন্যত্র বিয়ে দেয়। এক বছর পর আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। শ্বশুড় বাড়ীতে অত্যাচার অবিচার সইতে না পেরে বাবার বাড়ীতে ফিরে আসতে হয়। বেশ কয়েকদিন পর থেকে সৎ মায়ের অত্যাচার শুরু হয়।
ওইদিন আমার সৎ মা পারুল বেগম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অজুহাতে আমাকে মারধর করে এবং মুখে একটি কামড় দেয়। উত্তেজিত হয়ে রান্নার চুলা থেকে জ্বলন্ত লাকড়ি এনে আমার তল পেটে লাগিয়ে দেয় এতে আমার শরীর ঝলসে যায়। আমি প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠ্ বিচার দাবি করছি।
মনোহরগঞ্জ থানার এ.এস.আই সফিকুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply