(শাহাদাত হোসেন, মনোহরগঞ্জ)
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়াপাড়া গ্রামে পরকিয়ার জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী তোফাজ্জল হোসেন জুলহাস তার পিতা আব্দুর রব ও তার মা মালেকা বেগম।
স্বামী সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহতের পিতা সাহেব আলী বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ী এই তিন জনকে বিবাদী করে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। শারমিন বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠায় থানা পুলিশ।
জানা গেছে, বিগত পাঁচ বছর আগে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাদুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে, তোফাজ্জল হোসেন জুলহাসের সঙ্গে রামগঞ্জ উপজেলার সাহেব আলীর মেয়ে শারমিন বেগম এর সাথে ২৫০০০০/ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তন্বী আক্তার নামে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শারমিনের বাবা সাহেব আলী বলেন, আমার জামাই তোফাজ্জল হোসেন জুলহাস দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া করে আসছে।
আমার মেয়ে বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামীকে একাধিক বার বাদা দেয়। জুলহাস কিছুতে তার কথা শুনেনি। তাকে পরকীয়া প্রেমে বাধা দিলে সে আমার মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাত। গত ২৯/৫/২০২০ ইং তারিখে এই পরকীয়ার জেরে আমার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করে তোফাজ্জল হোসেন জুলহাস ও তার পরিবার। এই পরকীয়ার জেরে প্রায় সময় তাদের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকতো।
এই বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মেয়ের বাবা তিন জনকে বিবাদী করে থানায় মামলা দিয়েছে, আমরা তিন জনকেই গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply