অনলাইন ডেস্ক:
ভিডিও ধারণকারীকে নিয়ে – জামালপুরের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ও অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা কিছু সময়ের মধ্যে …. হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকে ডিসি ও নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তবে হঠাৎ করে আজ সোমবার সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে হাজির হন তিনি। সকালে বোরখা এবং হিজাব পরিবর্তন করে হঠাৎ করে অফিসে হাজির হন। এ সময় তার হাতে একটি ছুটির দরখাস্ত দেখা যায়। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অফিসে হাজির হলেও সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি সাধনা।
ভিডিও বিষয়ে জানতে চাইলে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ভিডিও দেখেছি। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কীভাবে এসব হলো তা আমার জানা নেই। এসব কে করল তা আপনারা বের করে তদন্ত করুন। আমি বিচার চাই, কিন্তু স্যারের কোনো দোষ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্যার নির্দো ষ, কারণ স্যার আমার কোনো ক্ষতি করে নাই। আমার এমনি বাঁ চার কোনো ইচ্ছা নেই। আমি বাঁচতে চাই, আমার সন্তানের জন্য আমাকে বাঁ চান। এভাবে ধি ক্কার না দিয়ে আমাকে বাঁ চার মতো বাঁচতে দিন।’এরপর সাধনা অফিসে একটি ছুটির দরখাস্ত দিয়ে চলে যান।
এরআগে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ও অফিস সহকারী সানজিদা আফরিন সাধনার ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এবং মো. এনামুল হককে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে ‘খন্দকার সোহেল আহমেদ’ নামের একটি পাবলিক ফিগার ফেসবুক পেজ থেকে জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চপদধারী এই সরকারি কর্মকর্তা তার অফিসেই একজন নারীর সঙ্গে ….. এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। ফেসবুক আইডি থেকে এটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্যাপক হারে নজরে আসতে থাকে ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীদের কাছে। এদিকে শুক্রবার ভোররাত থেকে রহস্যজনক কারণে ওই আইডির ওয়াল থেকে ভিডিও লিংকটি সরিয়ে নেয়ায় সন্দেহ আরো দানা বেঁধে উঠেছে
Leave a Reply