অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার বিবির বাজার সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রশান্ত কুমার দাশ নামে কুমিল্লার নগরীর ভিডিওগ্রাফার নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী এবং ঘটনাস্থল থেকে চার হাজার ৩২৫ পিস ইয়ারা ট্যাবলেট ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয় বলে বিজিবি জানিয়েছে।
শুক্রবার ভোর রাতে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তাকে বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন ইভেন্টের ম্যানেজমেন্টের সাথে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতো বলে জানা গেছে। তবে তার নামে পূর্বে কোন মামলা ছিল কিনা জানা যায়নি।প্রশান্তের নিহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না।
Shahiha Ananna নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মন্তব্য করেছেন, Prasanth Kumar দাদা, এগুলো মিথ্যা কথা। আপনাকে মেরে ফেলসে ওরা। মাইনা নিতে পারতেসি না দাদা। এগুলা মিথ্যা আপনি অনেক ভাল ছিলেন। সেদিনও দেখা হইসে আমার। আপনি হাসি দিয়া কথা বলসেন। আমি কিভাবে ভুলব??আমি আর সহ্য করতে পারতেসি না। এভাবে কেন মরতে হবে?? আপনার মা তো সেদিন মারা গেলো। আল্লাহ্ ওরা মেরে ফেলসে আপনাকে।
Amdadul Hoque Shohag Bhuiyan সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন ,তার নামে কয়টা মামলা ছিলো?? কেউ জানেন?? বড্ড মায়া লাগছে। অনেক বিনয়ী ছিলো ছেলেটা। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ করতো প্রশান্ত। স্টুডিওর ভিডিও করাই ছিলো তাঁর মূল পেশা। প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলে ঠিক আছে, মাদককারবারী বা মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কোন অাপোষ নেই। একটি সমাজ ও দেশ ধংস করার জন্য মাদকই যতেষ্ট। সাংবাদিকরা সবাই তথ্য নিবেন বিশ্বাস।
অপরাধ আড়াল করার জন্য কেউ সাংবাদিকদের ছায়াতলে আসুক সেটা কখনোই কাম্য নয়। সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা। ফাইভ পাশ, ক্লাস এইট ফেল, নন মেট্রিক পাস সাংবাদিকদের প্রতি সবসময় ঘৃণা। প্রশান্ত মাদক কারবারি হলে নিশ্চয় পূর্বে মামলার রেকর্ড থানা পুলিশের কাছে থাকার কথা। নোটঃ গত রাতে বিজিবির সাথে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে প্রশান্ত মারা গেছে। তাঁর কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
Mainul Haq মন্তব্য করেন প্রশান্ত কুমার যখনই দেখা হতো হাসি মুখে সালাম দিয়ে বলতো ভাই কেমন আছেন। বেশির ভাগ সময় সরকারি/জেলা প্রশাসনের প্রোগ্রাম গুলোতে দেখা হত। সারাদিন দেখতাম ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।মাস-দেড় মাস হবে ওর মা মারা গিয়েছে। ওর মা এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে দৌড়ে যেত সব সময়। এক কথায় সমাজসেবী ছিল।
আজ যখন কিছু মানুষের ফেসবুক ফেইজে দেখলাম বিজিবির সাখে বন্দুক যুদ্ধে মারা গিয়েছে পুরাতন চৌধুরীপাড়র প্রশান্ত কুমার নামে এক মাদক চোরাকারবারী। তখন পরিচিত কিছু সাংবাদিক থেকে ফোনে জানলাম ।তারপর নিশ্চিত হলাম। অনেকেই হয়ত শুনে খুশি হবেন যাক আরেকজন মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে।
ভালোই হয়েছে। আসলেই কি মাদক ব্যবসায়ী ছিল!? অথচ চোখের সামনে দিয়ে বড় বড় সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীরা ঘুরছে ওদের কিছুই হচ্ছে না। জানিনা বিজিবিকে কে তথ্য দিল সে সাদক ব্যবসায়ী। ভুল তথ্যের শিকার। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার চোখে পড়লে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। যাক ছোট ভাই ওপারে ভাল থাকবি মায়ের কাছে।কষ্ট ছোট ভাইটির হাসিমুখটি আর দেখতে পাব না।RIP
Faysal Abedin মন্তব্য করেন, মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ,এই ছেলে ২৩ তারিখ ইন্ডিয়া থেকে দেশে এসেছে।তার নামে কোন মামলা নাই মাদকের।ভাল থাকিস ভাই, এইটা সহ্য করার মতো না। বন্ধুক যুদ্ধ না এইটা হত্যা।
১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকার বাদল চন্দ্র দাশের ছেলে প্রশান্ত কুমার দাশকে বৃহস্পতিবার বিকালে আটক করা হয়। মাদকদের একটি চালান যাবে তার এ স্বীকারোক্তি অনুসারে তাকে নিয়ে গভীর রাতে বিজিবি বিবির বাজার সীমান্তে অভিযান চালায়।
এসময় আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা মাদক ব্যবসায়ীদের একটি দল বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। বিজিবি পাল্টা গুলি চালালে প্রশান্ত আহত হয়। তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, জানা মতে প্রশান্তের নামে কোন মামলা নেই। তবে যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে।
Leave a Reply