অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ডিগ্রী শাখার মাটিতে পড়ে থাকা, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে অকালে ঝরে গেল একটি তাজা প্রাণ। বন্ধুর জন্ম দিন পালন করতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ধর্মপুর ডিগ্রী শাখায় ল্যাম্প পোস্টের সাথে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নিহত হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আল শাহরিয়ার নূর রেদোয়ান অনন্ত (১৬)। সে মডার্ণ স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ডি শাখার ছাত্র এবং তার রোল নম্বর ৬৬। কাতার প্রবাসী মো: মাইনুল ইসলামের মাত্র দুই ছেলের মধ্যে অনন্ত ছোট। বড় ভাই আল আমিন হোসেন অমিত সে চার্টার্ড একাউন্ট বিষয়ে অধ্যয়নরত। অনন্তের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি উপজেলার খুলশী গ্রাম। কুমিল্লা মহানগরীর বাগিচাগাও উপহার ভিলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো অনন্ত সহ তার ভাই।
জানা যায়, গতকাল ২০ জানুয়ারী বিকেলে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ধর্মপুর ডিগ্রী শাখা সংলগ্ন বন্ধুর বাসায় জন্ম দিন পালন করে। পরে সকল বন্ধুরা এক সাথে ভিক্টোরিয়া কলেজের ভিতর দিয়ে মাঠের পূর্বপাশে অর্থনীতি ভবনের সামনে আসা মাত্র বন্ধুদের ধাক্কাধাক্কিতে পাকা রাস্তা থেকে হঠাৎ নিচে কাঁদা পানিতে পড়ে যায়। নিচ থেকে ল্যাম্পপোস্টের পাইপে ধরে উপরে উঠার চেষ্টা করলে সে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়। সেখানে বিদ্যুতের তার খোলা ছিল। বিদ্যুতের তারের সামান্য অংশে কভার ছিলনা। বন্ধুরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার অনন্তকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত অনন্তের মা নেই বাবা কুয়েত প্রবাসী। বাবা ছেলের পরীক্ষা উপলক্ষে দেশে এসেছে। পরীক্ষা শেষে আবার কুয়েতে ফেরত যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে তার বন্ধুরা। বন্ধুদের দাবী ল্যাম্পপুস্টের পাইপে বিদ্যুৎ ছিল এবং সেই বিদ্যুতে পৃষ্ঠ হয়ে নিহত হয়েছে অনন্ত।এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার মন্তব্য করেনি।
সাইফ কামরুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, কুমিল্লার স্বণামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের এমন খামখেয়ালিপনা আচরণ মেনে নেয়া যায় না,অচিরেই অপরিত্যাক্ত কাজগুলো করে কলেজের ভাবমূর্তি সমন্বত রাখার দাবী করছি ।
ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ডিগ্রী শাখার ভেতরের ল্যাম্প পেস্টের তার গুলো অগুছালো এবং এখানের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করলে যে কোন সময় আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা প্রয়োজন।
উক্ত ঘটনার পর খবর পেয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন ও কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সালাহউদ্দিন হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রতন কুমার সাহা।
Leave a Reply