অনলাইন ডেস্ক:
ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত বেশ কিছু অনুষ্ঠানের মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে। শিশুদের ক্ষেত্রে আসক্তির পাশাপাশি বাড়ছে পারিবারিক কলহ। হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও। এক্ষেত্রে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান পরিবেশনার ত্রুটিকেই কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সরকারি নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছের বিশেষজ্ঞরা।
পরিবারের ছোট্ট সদস্য রাফিদ। সকাল থেকে সন্ধ্যা সারাদিনই ডুবে আছে ভারতীয় টেলিভিশনে প্রচার হওয়া একটির পর একটি কার্টুনে। সবে মাত্র স্কুলে যাওয়া শুরু হলেও মন নেই পড়াশুনায়। হা করে শুধুই কার্টুন দেখা। বায়না হিসেবেও তার কার্টুন দেখা চাই।
রাফিদকে টিভির সামনে থেকে সরালেই বসে তারই বড় ভাই রিফাত। তারও নজর রেসলিং বা ভারতীয় সিনেমার দিকেই। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অনেক ঘরেই অধিকাংশ সময় চলে ভারতীয় বাংলা বিভিন্ন সিরিয়াল বা অনুষ্ঠান। পরকীয়া বা বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ঠাসা এসব অনুষ্ঠানের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে দেশীয় দর্শকদের মাঝে। ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
দেশে অনেক ভালো অনুষ্ঠান নির্মাণ হলেও মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বা পরিবেশগত ত্রুটিকেই ভিনদেশী টেলিভিশনের দিকে ঝোঁকের মূল কারণ বলছেন দেশীয় নির্মাতারা।
নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা বলেন, ‘প্রচারের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় আছে, যা আমাদের দর্শকদের নাটক দেখার জন্য ব্যহত করছে। এই যে নিয়মগুলো করে একধরনের বিষ আমাদের খাওয়ানো হচ্ছে, আমরা শুধাই খাওয়াবো, শুধার মত করে তৈরি করে আমাদের নিজস্ব বিবেচনা দিয়ে।’
তবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক হওয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের ।
ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, আমাদের কন্টেন্টগুলো তৈরি করার সময় আমাদের যে ভাবা, নেতিবাচক যে এতে আমাদের কি হতে পারে।’
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেনমোহরের টাকা নিয়ে ঝগড়ায় স্বামীর হাতে খুন হন স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রলকে অনুসরণ করেই স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে আদালতে জবানবন্দী দেন স্বামী ইব্রাহীম।
সূত্র: সময় নিউজ
Leave a Reply