নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, আমি ব্যক্তি স্বার্থে নয়,কুমিল্লার মানুষের জন্য কাজ করি। ৩০ বছর পিছিয়ে থাকা কুমিল্লাকে এগিয়ে নিতে চাই। বিগত ১০ বছরে কুমিল্লায় উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। কুমিল্লার মানুষ শান্তিতে ছিল। শান্তির কুমিল্লার শান্তি বিনষ্টে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে।পাঁচথুবীতে আমাদের দলের কর্মী মুক্তিযোদ্ধা অহিদুর রহমানের মৃত্যুর পর পাঁচথুবীবাসী সর্বোচ্চ মর্যাদা ও গুরুত্ব দিয়ে দাফন ও পরবর্তী মিলাদ-দোয়া অনুষ্ঠান করেছিল। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল স্বরণ সভার নামে যুদ্ধ লাগানোর পাঁয়তারা করেছিল। এসব চক্রান্ত মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রয়োজন। কুমিল্লাকে এগিয়ে নিতে আপনাদের সহযোগিতা চাই।
গতকাল শুক্রবার সকালে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদে নিজস্ব অর্থায়নে নবনির্মিত থেরাপী সেন্টার ও কম্পিউটার ইনস্টিটিউট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এমপি বাহার আরো বলেন,কুমিল্লা এগুলোই এগুবো বাংলাদেশ। যার দৃষ্টান্ত আজকের থেরাপী সেন্টার ও কম্পিউটার ইন্সটিটিউট স্থাপন। আজকের দিনে দেশের অনেক উপজেলা এলাকায় থেরাপী সেন্টার নেই। আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে তা চালু করেছি। আমার বিশ্বাস এই থেরাপী সেন্টার এলকাবাসীর স্বাস্থ্য সোয় কার্যক্রর ভুমিকা রাখবে। আর বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগে শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম জীবন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক কাজী আবুল বাসার,সেক্রেটারী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: তারিকুর রহমান জুয়েল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. হোসনেয়ারা বেগম বকুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান হিরণ,সাধারন সম্পাদক হাজী হাছান রাফি রাজু।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা ব্যায়ে থেরাপী সেন্টার ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। পিজিওথেরাপী সেন্টারে ৩ টি পুরুষ ও ৩ টি মহিলা সহ ৬ টি শর্য্যা রয়েছে। এখন থেকে ইউনিয়নবাসী থেরাপী চিকিৎসার জন্য আর শহরে যেতে হবে না। স্বল্প খরচে এখান থেকে সেবা সমূহ গ্রহণ করতে পারবে। আর কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে প্রতি শিফটে ৮ জন প্রশিক্ষনার্থী প্রশিক্ষন গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।পরবর্তীতে চাহিদার ভিত্তিতে আরো কয়েকটি শিফট খোলা হবে। ২০৪১ সালের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে এ কার্যক্রম চালু করেছি।
Leave a Reply