চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে আইদি পরিবহনের রোড পারমিট পেতে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছে মালিকপক্ষ। সোমবার দুপুরে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সকল বৈধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিগত ১ বছরেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোড পারমিট না পাওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদপুরের আইদি বাস মালিক কর্তৃপক্ষ।
লিখিত বক্তব্যে আইদি পরিবহনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী দাবি করেন, শাহরাস্তির পেয়ারা বেগম বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল ও এতিমখানা পরিচালনার লক্ষ্যে আইদি পরিবহন চালু করা হয়। তবে চালুর প্রথম থেকে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন প্রভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে তারা। চঁদপুর জেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেলেও তৎকালীন কুমিল্লার এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের হস্তক্ষেপে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন অনুমোদন দেয়নি। এতে পরিবহনটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে অনুমোদন না পেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
আরেক উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘কুমিল্লায় একটি কাউন্টার ভাড়া নিয়েছি। আওয়ামী লীগের এমপির নাম ভাঙিয়ে সেখান থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইদি পরিবহন নিয়ে সরিয়ে আসার জন্য হুমকি দিয়েছিল। তাহলে সব পুড়িয়ে দিবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। এখন পরিবহনটি চাঁদপুর থেকে জগৎপুর পযন্ত নয়টি স্টপেজে যাত্রী উঠানামা করছে।’
আইদি পরিবহনের ২০টি গাড়ি এখন চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে চলছে। আরও প্রায় ৩০টি পরিবহন রয়েছে। কুমিল্লা পর্যন্ত রোড ফারমিট পেলে সবগুলো গাড়ি যাত্রী সেবায় নিয়োজিত করা হবে বলে জানান আইদি পরিবহনের ম্যানেজার মনির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আইদি পরিবহনের রোড ফারমিট দিয়েছে চাঁদপুর জেলা বিআরটিএ। আর বোগদাদ পরিবহনকে দিয়েছে কুমিল্লা বিআরটিএ। তাহলে তারা যদি চাঁদপুরে ঢুকতে পারে, আমরা (আইদি পরিবহন) কেন কুমিল্লা ঢুকতে পারবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে রোড পারমিট দিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।’
Leave a Reply