(অমিত মজুমদার, কুমিল্লা)
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ফাতেমা বেগম(৫৫) নামে এক বৃদ্ধা মা। বুধবার(৭ আগষ্ট) এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ইমরুল হাসানের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং কলেজ গেইট এলাকার ফাতেমা বেগমের ছেলে বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কবির হোসেন ও বড়িচং কলেজ গেইটের ‘স, মিল ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদ বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগমের কোন বরণ-পোষণ দেয় না। তার ঘরের সামনে দিয়ে বাঁেশর বেড়া ও মাটি দিয়ে উচুঁ করে দিয়েছে যেন বাড়ি থেকে বের হতে না পারে। ছেলে ফয়েজ আহম্মেদ গত ৩১ জুলাই বিদ্যুতের মেইন লাইটির মাঝখান দিয়ে কে টে দিয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারনে মোটরে পানি ওঠাতে পারেনা, পানির অভাবে রান্না ও গোসল করতে না পেরে ৯ দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঐ বৃদ্ধ। ফয়েজ আহম্মেদ বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগমকে প্রায়ই মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফয়েজ আহম্মেদ অত্যন্ত হিং স্র, দু ষ্ট ও চালাক প্রকৃতির মানুষ। সে দুটি মা মলার আ সামী ছিল এবং তার বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় ২টি এবং ঢাকা-কদমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে ১টি জি ডি রয়েছে।
অভিযোগকারী ফাতেমা জানান, স্বামী মা রা যাওয়ার পর থেকে আমার ছোট ছেলে রবিউল গত ১৩ বছর ধরে আমাকে বরন-পোষন করে আসছে। আমার ছোট ছেলে রবিউল চাকুরি করার কারণে বাড়িতে থাকে না, আমি আমার ছোট ছেলের ঘরে গত ১৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘরটি দ খল করার উদ্দেশ্যে ফয়েজ আহম্মেদ আমাকে প্রায়ই মা রধর করে এবং ভ য়-ভী তি দেখায়,যেন ঘরটি ছেড়ে চলে যাই।
এরই ধারাবাহিকতায়, ঘরের সামনে দিয়ে বাশেঁর বেড়া ও মাটি ফেলে উচু করে দিয়েছে যেন ঘর থেকে বের হতে না পারি। আমাকে তিলে তিলে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৩১ জুলাই ছোট ছেলে রবিউলের নিজ নামের ০০৬৯৪০০নং পল্লী বিদ্যুতের লাইটির মাঝখান দিয়ে কেটে দিয়েছে ফয়েজ আহম্মেদ। হু মকি দিয়ে ফয়েজ বলেছে আর কখনো এই লাইনে বিদ্যুৎ লাগাতে দিমু না। বিদ্যুৎ না দিলে তুই(ফাতেমা) মোটরে পানি তুলতে পারবি না, রান্না ও গোসল করতে পারবি না এবং ঘরমের মাঝে থাকতে থাকতে এমনিতেই ম রে যাবি। আর তোর ছেলে রবিউল যদি লাইন লাগাতে বাড়িতে আসে, তাহলে তাকেও মে রে ফেলবো।
তিনি আরো জানান, আমার স্বামী মৃত আব্দুল কাদেরের নামে একটি মিটার রয়েছে যা আমার বড় ছেলে মো. কবির হোসেন ভোগ-দখল করতেছে। আমার মৃ ত স্বামীর নামের মিটার থেকে আমাকে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও আমার বড় ছেলে প্রভাষক কবির হোসেন বিদ্যুৎ দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আমি মোটরে পানি তুলতে পারিনা, আমার পুকুরও নাই। পানির অভাবে রান্না ও গোসল করতে পারি না। বর্তমানে ৯ দিন ধরে মানবেদর জীবনযাপন করতেছি।
এবিষয়ে জানতে অভি যুক্ত সেজ ছেলে ফয়েজ আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন অভিযোগ দিয়েছে ইউএনও সাবের কাছে। ইউএনও সাব দায়িত্ব তো আপনার কাছে ছেড়ে দেয়নি। আপনি তো আর ইউএনও না ,এতে আপনার সমস্যা কি।
অভিযোগের বিষয়ে অভি যুক্ত বড় ছেলে প্রভাষক কবির হোসেন সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ অনুযায়ী অভিযোগ চলবে। আমি তার জবাব দিব।
বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply