অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ব্যায়ামাগারেই চলছে শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয়। ব্যায়ামাগার দখল করে কার্যালয় বানানোয় ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ব্যায়ামাগারটি উদ্ধোধন করলেও দখল হওয়ার বিষয়টি জানেনা বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পূর্ব পাশে টিনের চালার এক কক্ষবিশিষ্ট একমাত্র ব্যায়ামাগারটি অবস্থিত। ব্যায়ামাগার দেখাশুনা করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ নেই। সব চাবিই ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে। তাদের খেয়াল-খুশি অনুযায়ী ব্যায়ামাগারটি খোলা হয়। ব্যায়ামাগারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের লগোসহ ‘ব্যায়ামাগার’ লিখা ফলক থাকলেও মূলত দলীয় কার্যালয় হিসেবেই ব্যাবহার করছে ছাত্রলীগ। ব্যায়ামাগারের সামনে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের পতাকা উড়তে দেখা যায়। খোজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী ব্যায়ামাগারটি উদ্বোধন করেন। মোট ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যায়ে ১৭টি ব্যায়ামের যন্ত্র কেনা হয়। উদ্বোধনের পর কিছুদিন নিয়মিত ব্যাবহার হলেও বিভিন্ন কারণে এখন আগ্রহ হারিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঐদিন ফেইসবুকে পোস্ট দেখলাম ব্যায়ামাগারকে দলীয় কার্যালয় বলছে ছাত্রলীগ। অবাক হলাম। রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসে কিভাগে রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় হতে পারে!’
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এটা আমাদের দলীয় কার্যালয় না। তবে আমরা এখানে বসে থাকি। প্রশাসন থেকে চাবি চাওয়া হয়নি, তাই আমরা কাউকে চাবি দেইনি। সারাদিনই তো ব্যায়ামাগার খোলা থাকে। শিক্ষার্থীরা চাইলে যে কোন সময় ব্যায়াম করতে পারে।
বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, চাবি তো শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকার কথা। আমি এখন জানলাম। এটা নিয়ে আমি কথা বলবো।’ কোন ছাত্র সংগঠন কি নিজেদের কার্যালয় দাবি করতে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে। কাউকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে প্রশাসন কোন কক্ষ ব্যাবহারের অনুমতি দেয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘ব্যায়ামাগার অবশ্যই ছাত্রদের জন্য। তবে ছাত্রলীগ দখল করার বিষয়ে আমার জানা নেই।’
Leave a Reply