নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখন দেখছি বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে নালিশ করা হচ্ছে। এই পার্টি আবারও প্রমাণ করলো; বিএনপি- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি নয়; বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।’
বুধবার আজিমপুরে এতিমখানায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীদের আক্রমণে আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আক্রান্ত হন। কিন্তু বিএনপি বিদেশিদের কাছে উল্টো নালিশ করে বলেছে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে আন্দোলন হওয়ার মতো বস্তুগত পরিস্থিতি নেই। এই মুহূর্তে নানা খেলা চলছে। নানা অশুভ খেলা চলছে। আন্দোলন একবার কোটা আন্দোলনে ভর করে, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের ওপর ভর করে। এখন শিশুরা বাড়ি ফিরে গেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেও তাদের (বিএনপি) সফলতা আসেনি।’
‘বিএনপির আন্দোলন করার সক্ষমতা নেই’- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘নিজেদের আন্দোলন করার সক্ষমতা নেই। ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে দেশের কথা বলছে- এরা দেশপ্রেমী নয়।’
‘আক্রান্ত হয়েও আওয়ামী লীগকে আক্রমণকারী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে’- এমন অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘আমাদের ৪৬ নেতাকর্মী আহত। শিলা-পাথর ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাগে ছিল না। অরাজনৈতিক আন্দোলনে যে রাজনীতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তারাই পাথর বহন করেছে। মিরপুর থেকে হাজার হাজার স্কুলড্রেস ও ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নীলক্ষেত থেকে ভুয়া আইডি কার্ড সংগ্রহ করে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে নোংরা রাজনীতিক আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়ার অশুভ এজেন্ডা যাদের, তাদের আমরা নিন্দা জানাই। তাদের ধিক্কার জানাই। আজ আরাফাত নামে আমাদের এক কর্মীকে বিদেশে পাঠাতে হচ্ছে। তার একটি চোখ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয়েছে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মিডিয়ায় এবং কোনো কোনো কাগজে এমনকি ফেসবুকে যেভাবে অপপ্রচার হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছিল সে (আরাফাত) আন্দোলনরত ছাত্র। তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। সে যে আমাদের দলের সেটা বলা হয়নি।’
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার উৎস; সাহসের উৎস। বেগম মুজিব সহধর্মিণী ছিলেন বলে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন। এ কথা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। বাংলাদেশে বহু ফাস্টলেডি দেখেছি কিন্তু বেগম মুজিবকে আমরা পদ ও প্রদীপের আলোয় খুব একটা দেখিনি। তিনি সব সময় ছিলেন পর্দার অন্তরালে।’
অনুষ্ঠান শেষে দুস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
Leave a Reply