অনলাইন ডেস্ক:
বাড়ির কাজের ছেলের সঙ্গে কিশোরী মেয়ের প্রেম। কিন্তু সে সম্পর্ক মেনে নিতে নারাজ মেয়ের বাবা ও ভাই। তাই তাকে আটকে রাখা হয় ঘরে। কিন্তু সুযোগ পেয়েই মেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। পরে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ওই কিশোরী নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের ভেবড়া গ্রামের আব্দুল আলী শেখের মেয়ে। আর প্রেমিক আব্দুল খালেক (২২) একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করে ওই কিশোরী। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকিও দেয় সে।
জানা গেছে, ভেবড়া গ্রামের আব্দুল আলী শেখের বাড়িতে কাজ করতেন আব্দুল খালেক। দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে আব্দুল আলী শেখের মেয়ের সঙ্গে আব্দুল খালেকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু আব্দুল খালেক দরিদ্র হওয়ায় প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না মেয়ের বাবা এবং তার বড় ভাই। আব্দুল খালেকের বাড়িতে ইতোপূর্বেও বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেই ওই মেয়ে। তার সঙ্গে বিয়ে দেয়া হবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সুযোগ পেয়ে শনিবার সকাল থেকে প্রেমিক আব্দুল খালেকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় ওই কিশোরী। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করবে বলেও হুমকি দেয় সে।
স্থানীয়রা বলেন, তাদের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এলাকার সবাই তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানে। মেয়ে তার নিজের ইচ্ছায় আব্দুল খালেকের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে। ছেলের পরিবার গরিব হওয়াটাই ওদের সম্পর্কের বড় বাধা।
অনশনরত কিশোরী জানায়, তাদের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আব্দুল খালেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। কিন্তু তারা গরিব হওয়ায় তার বাবা ও ভাই এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। তার সঙ্গে বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
ছেলের মা ময়না বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। তাদের দু’জনের সম্পর্ক আছে। আমরা গরিব বলে তার বাবা ও বড় ভাই সম্পর্ক মেনে নিতে চায় না। বরং মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
কিশোরীর বাবা আব্দুল আলী শেখ বলেন, মেয়ে ছোট মানুষ। এসব আর কী বুঝবে। তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেয়া হয়েছে। তার মোহ কেটে গেলে ঠিক হয়ে যাবে। বাবা হয়ে তো আর তাকে ডোবাতে পারি না।
মান্দা থানার ওসি (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply