( জাগো কুমিল্লা.কম)
যৌতেুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি চলে আসেন দুই সন্তানের জননী ইয়াসমিন (২৫)। এর আগেও কয়েকবার মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী শহিদুল্লাহ। গত বুধবার ইয়াসমিনকে মারধর করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার স্বামী । বৃহস্পতিবার ইয়াসমিনের পিতা আ. মতিন স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করে ইয়াসমিনকে। পরে বিকালে অনেকটা জোর পূর্বক মেয়েকে শহিদুল্লাহ’র হাতে তুলে দিয়ে যায় তার বাবা।
ওই রাত শুক্রবার রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ইয়াসমিনকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই পাষন্ড। টিনের ঘরের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস অবস্থায় বাঙ্গরাবাজার থানা পুলিশ উদ্ধার করে। ইয়াসমিনের গায়ে ও দু’পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে ১১নং রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নের ব্রাক্ষণ চাপিতালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসমিনের পিতা আ. মতিন জানায়, মুরাদনগর উপজেলা রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের ব্রাক্ষণ চাপিতলা গ্রামের মৃত. আ. মান্নানের ছেলে ট্রেইলার মামুন ওরফে শহিদুল্লাহ’র সঙ্গে ইয়াসমিনের গত ছয় বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মতে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে কিছুদিন পর পর ইয়াসমিনকে তার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য মারধর করে। আমি বেশ কয়েক বারে তিন লাখের অধিক টাকা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ইয়াসমিনের পিতা আ. মতিন বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আসামিরা হলো- মো. মামুন ওরফে শহিদুল্লাহ(৩০), মো. মজিবুর রহমান(৪০), মিনুয়ারা বেগম(২২), মো. মজিবুর রহমান স্ত্রী নাজমা বেগম(৩৫), মৃত. আ. মান্নান স্ত্রী রাশিয়া বেগম(৬০)কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাঙ্গরাবাজার থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একজনকে আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply