মোঃ শরীফ উদ্দিনঃ
কুমিল্লার বরুড়ায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরুড়া উপজেলা শাখার বিরুদ্ধে সম্প্রতি দূর্গা পূজা উপলক্ষে সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত চাউল বিতরণ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পূজা উদযাপন কমিটির বিরুদ্ধে গত ২৫ অক্টোবর তারিখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের বরারব মিথ্যা অভিযোগ ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংগঠনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২রা নভেম্বর দুপুর ২টায় বরুড়া জগন্নাথ মন্দিরে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির অায়োজনে সংবাদ সম্মেলনে জানা যায় সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ৫০০ কেজি চাউল সরকারি ভাবে বরাদ্দ হয়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার ৮২ টি পূজা মন্ডপের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সমূদয় চাউল খোলাবাজারে বিক্রয় পূর্বক সমূদয় অর্থ সম বন্টনের জন্য অনুরোধ জন্য অনুরোধ করেন। সেই প্রেক্ষিতে বর্তমান সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বরুড়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সকল কার্য নির্বাহী সদস্যদের সম্মিলিত মতামতের প্রেক্ষিতে চাউল বিক্রির সমূদয় অর্থ প্রতি কেজি চাউল ৩০.৫০ পয়সা ধরে ৪১ মেট্রিক টন এর সর্বমোট মুল্য ১২,৫০,৫০০ (বারো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পাচ শত ) টাকায় বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যেক পূজা মন্ডপে ১৪,০০০ টাকা করে সমবন্টন করা হয়। যাহা সকল (৮২টি) পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি সাধারণ ও প্রতিনিধিগন স্থানীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল অালম চৌধুরী নজরুল সহ অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে অানুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহন করেন। বাকি ১,০২,৫০০(এক লক্ষ দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা প্রতি বছরের ন্যায় ১০টি বাসন্তী পূজা মন্ডপে বিতরণের জন্য পূজা উদযাপন কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বাকী ১,০২,৫০০(এক লক্ষ দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা বর্তমান কমিটির ব্যাংক একাউন্ট নং ব্র্যাক ব্যাংক বরুড়া শাখার ১৩০৪১০৪৬১২৪৯৬০০২ নম্বরে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর বরুড়া শারদীয় দূর্গা পূজা ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি অনুদানের চাউল বিতরণের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ অানিসুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিন হোসেন সহ বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে যারা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কুরুচিপুর্ণ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা কেহ কোন পূজা মন্ডপের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নহে। বরুড়া পূজা উদযাপন কমিটি ৮২ টি পূজা মন্ডপের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ বরুড়া উপজেলার সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উক্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও ধিক্কার জানায়। তারই সাথে তাদের এই মানহানিকর উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভিত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অাইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বরুড়া পূজা উদযাপন কমিটির ও ৮২ টি পূজা মন্ডপের কমিটির পক্ষ থেকে জোর দাবী জানায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির অাইন বিষয়ক সম্পাদক নবেন্দু বিকাশ সর্বাধিকারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা দীপক ভৌমিক, সংগঠনের সভাপতি ডাঃ তপন ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার তপন কৃষ্ণ বনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক তপন দাস, জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন ভদ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস লাল দত্ত, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সলিল বিশ্বাস, বরুড়া কালীমাতা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিনয় সাহা, তলাগ্রাম হরিসভা সার্বজনীন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জীবন সাহা, পিলগিরী সার্বজনীন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি দীলিপ চন্দ্র, মহিদপুর সার্বজনীন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রান কৃষ্ণ, বেওলাইন সার্বজনীন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি হরে কৃঞ্চ সহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাঃ তপন ভৌমিক বলেন
পুজা মন্ডপের সরকারি অনুদানের চাউল বিতরণের অনিয়মের প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম মহোদয় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিন হোসেন মহোদয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। বরুড়া উপজেলায় এমন একজন ইউএনও পাওয়া আমাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। যিনি বর্তমান দূর্যোগের সময়ে উপজেলার সাধারন মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে গিয়ে মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। এমন অফিসারদের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করেছে তাদের প্রতি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানাই। তিনি অারও বলেন অামি অাজ প্রায় ৩০ বছর যাবত মানুষকে সুনামের সহিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে অাসছি অাজ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি অামাকে নিয়ে কোন মন্তব্য বা ভিন্ন মত প্রকাশ করেননি কিন্তু দুঃখ জনক বিষয় কিছু লোক নিজেদের স্বার্থের জন্য শারদীয় দূর্গোৎসবে বিভিন্ন মান্যগন্য ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে অামি এধরণের লোকদের অাইনের অাওতায় অানার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply