(মোঃ শরীফ উদ্দীন, বরুড়া )
গত ১৮ জুন বরুড়া উপজেলায় একদিনে ১০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। গত ১১ জুন ১৮ টি নমুনা পরীক্ষা করার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পাঠানো হয়, তার মধ্যে ১০ টি পজিটিভ ও ৮ টি নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। পজেটিভরা হলেন উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের মামুন হোসেন,
নুরুল ইসলাম, অাদ্রা ইউনিয়নের রুহুল আমিন, মাহফুজুর রহমান, অাড্ডা ইউনিয়নের ওসমান গনি, ঝলম ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামের আলী আশ্রাফ যিনি গত কয়েকদিন পুর্বে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ওসমান গনি, খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মোঃ ফারুক, দেলোয়ার হোসেন, গালিমপুর ইউনিয়নের ছোট রাড়ী গ্রামের রাসেল হোসেন।
এ পর্যন্ত বরুড়া উপজেলায় প্রায় ৭৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে, এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪০ জনের মত। তবে বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্ট অাসতে দেরি হওয়ায় অনেকে রিপোর্টের অপেক্ষা করতে গিয়ে অনিচ্ছা শর্তেও বাড়ীর বাহিরে গিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী সহ সর্বসাধারনদের করোনার ঝুঁকিতে পেলে দিচ্ছেন।
বরুড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকান খোলা রাখা সহ যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা অাদায় করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ অারিফুল ইসলাম ও অাব্দুল মান্নান। গত ১৮ জুন বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ অানিসুল ইসলাম জানান বাজার পরিচালনা কমিটি, বাজার ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সহ সবাইকে নিয়ে যৌথ ভাবে অালোচনার মাধ্যমে অাগামি ২১ জুন থেকে বরুড়া উপজেলায় স্থায়ী ভাবে লক ডাউন নিশ্চিত করার বিষয় সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা যায়। এতে অনেকে মনে করেন এ পদক্ষেপটি গ্রহণ করলে করোনায় সনাক্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি কিছু টা হলেও কমবে বলে জানান
Leave a Reply