ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হা-ডু-ডু। যা প্রায় বিলুপ্তির পথে। এই হারানো দিনের খেলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে কৃষ্ণপুরের যু্ব সমাজ। যেখানে বর্তমান যুব সমাজ মাদকাসক্ত, সেখানে কৃষ্ণপুর গ্রামের ক্রীড়া প্রিয় যুব সমাজ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত। মাদকের কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে ক্রীড়া বিনোদনের বিকল্প নেই। আজ ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৮টায় বরুড়া উপজেলার আডডা ইউনিয়নের (ক্রীড়ামোদি গ্রাম) কৃষ্ণপুর বটতলি বাজার বালুর মাঠে স্থানীয় পেশাজীবিদের মাঝে হা-ডু-ডু প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে রাজমিস্ত্রী হা-ডু-ডু দল বনাম কাঠমিস্ত্রী হা-ডু-ডু দল। প্রতি দলে ৬জন করে খেলোয়াড় অংশ নিয়ে বিরতি টাইম ১০ মিনিট সহ মোট ৭০ মিনিটের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কাঠমিস্ত্রী হা-ডু-ডু দল ৩-২ গেইমের ব্যবধানে রাজমিস্ত্রী হা-ডু-ডু দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাঠ মিস্ত্রী হা-ডু-ডু দলের ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মাসুদ আলমের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রপি তুলে দেন দৈনিক বরুড়া কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক মুহাম্মদ জামাল হোসেন শাহজী, রাজমিস্ত্রী হা-ডু-ডু দলের ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হেলাল মিয়ার হাতে রানার্সআপ ট্রপি তুলে দেন কৃষ্ণপুর বটতলি বাজারের ব্যবসায়ী মুহাম্মদ শাহাজান মোল্লা ও কাঠমিস্ত্রী হা-ডু-ডু দলের খেলোয়াড় মুহাম্মদ রাসেল হোসেনকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার তুলে দেন তরুন সমাজ সেবক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার প্রার্থী মুহাম্মদ সুমন হোসেন। খেলার রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন শাহজী। সহকারী রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ আবুল হোসেন পাটোয়ারী, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ হেলাল মিকার প্রমুখ। খেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এ এইচ রবি ও মুহাম্মদ তারেক হোসেন শাহজী। ধারা ভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ আরমান হোসেন পাটোয়ারী। শত শত দর্শক খেলাটি সুন্দর ভাবে উপভোগ করে।
Leave a Reply