অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হ ত্যা মামলায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহাকে আ টক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আলোচিত এ হ ত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও হ ত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনের তালিকায় তার নাম না থাকা নিয়ে চলছিল ব্যাপক সমা লোচনা।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সবুজবাগ থেকে বেলা ১১টার পর তাকে আ টক করা হয় বলে ব নিশ্চিত করেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন রাজারবাগ কালীবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে অমিত সাহাকে আ টক করা হয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রে ফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।ফাহাদকে যে কক্ষে খু ন করা হয় সেই ২০১১ কক্ষের থাকতো অমিত। হ ত্যাকাণ্ডের আগে ১৭তম ব্যাচের (ফাহাদের সহপাঠী) এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে? এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তারই এক সিনিয়র এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
আলোচিত এ হ ত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মামলায় নাম থাকা ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রে ফতার করেছে পুলিশ। তবে হ ত্যাকাণ্ডের পর সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল অমিত সাহা। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মামলায় তার নাম রাখা হয়নি। এরপর অমিত সাহার নানান কু কী র্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব হয়ে ওঠে। ফাহাদ হ ত্যাকাণ্ডে যে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে তার প্রমাণ মেলে মেসেঞ্জার অ্যা ক্টিভিটিতে।
এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতারা পরিক ল্পিতভাবে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পি টিয়ে হ ত্যা করে ম রদেহ সিঁড়িতে ফেলে রাখে। পরে ভিডিও ফুটেজে হ ত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। ফাহাদ হ ত্যার বিচার, আসল অপরাধীদের গ্রে ফতারসহ আট দফা দাবিতে আ ন্দোলনে ফুঁ সছে বুয়েটসহ দেশের সব শিক্ষাঙ্গন। এরই মধ্যে আ টক করা হলো অমিত সাহাকে।
Leave a Reply