অনলাইন ডেস্ক:
২ মাস ২২ দিন কুমিল্লা ও কেরানীগঞ্জ কারাগার ও কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্দি থাকার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সমন্বয়ক, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি মনিরুল হক চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে হাইকোর্টের আদেশে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
বুধবার কুমিল্লার আদালতে তার হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুস সা’দাত।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জেলার চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমা হামলায় বাসের ৮ যাত্রী নিহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দু’টি মামলায় মনিরুল হক চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিলেও গত বছরের ২৪ অক্টোবর জেলা জজ আদালতের বিচারক তার জামিন বাতিল হয় এবং ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে তার জামিন আদেশ হয়। এরপর জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার সন্ত্রাস বিরোধী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরমধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তিনি জামিন লাভ করেন। অপর মামলায় গত বছরের ২৬ নভেম্বর তার জামিন আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য ছিল।
মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. কাজী নাজমুস সা’দাত জানান, ওই তারিখে এবং চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত একাধিকবার জামিন আবেদনের অধিকতর শুনানীর জন্য দিন ধার্য থাকলেও রাস্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৭ জানুয়ারি মনিরুল হক চৌধুরীর জামিন আদেশ হয় এবং মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমা হামলায় বাসের ৮ যাত্রী নিহতের মামলায় বুধবার তিনি কুমিল্লার আদালতে হাজির হবেন।
উল্লেখ্য, মনিরুল হক চৌধুরী গত বছরের ২৪ অক্টোবর থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন, পরে অসুস্থ অবস্থায় গত ৫ জানুয়ারি তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে গত ৬ জানুয়ারি তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে তিনি মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
Leave a Reply