( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার বরুড়ায় ৩ সন্তানের জনকের সাথে প্রবাসী দেলোয়ারের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী ফারজানা আক্তার খুকি (২৮) পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দেলোয়ারের পিতা মোহাম্মদ আলী (১০৬) বাদী হয়ে পরোকিয়া প্রেমিক জালাল উদ্দিনকে আসামী করে বরুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ১৮ বছর পূর্বে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বরাইয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের সাথে ১০ নং শিলমুড়ী (উঃ) ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের হাফিজ মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার খুকির বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অজান্তে সে জালাল উদ্দিনের সাথে পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়। প্রেমের সূত্র ধরে শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দেলোয়ারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার খুকি হবিরগাঁও গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিনের সাথে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘর থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ও ৩ ভড়ি স¦র্ণলংকার নিয়ে যায়। এঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দোলোয়ারের পিতা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে বরুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ নং (২০৩৩/১৮) ।
অভিযোগ সূত্রে বরুড়া থানার এস আই সুমন তাদের সন্ধান বের করে উভয় পক্ষকে শালিশে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে। সোমবার (১৯ নভেম্বর) বরুড়া থানায় শালিশ শেষে দেলোয়ারের পরিবার পুত্রবধূ খুকিকে গ্রহন না করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাহেব সর্দারগণের উপস্থিতে তাকে তার পরিবারের পক্ষে ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রশিদ ও চাচা মনা মিয়ার জিম্বায় দেওয়া হয়। ফারজানা আক্তার খুকি‘র প্রেমিক জালাল উদ্দিন সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করতে পারবে না বলে জানায়। এ মুর্হূতে খুকি ছরম মানষিক বিজর্য়ের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে।
এ ব্যাপারে জালাল উদ্দিনের বাবা বলেন, আমি একটি শালিশে আছি। এ মুহুর্তে আপনার সাথে কথা বলা সম্ভব নয়, পরে কথা বলেবন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে জীবনপুরের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রশিদ বলেন, গত সোমবার বরুড়া থানায় ৩ পক্ষের উপস্থিতিতে শালিশ অনুষ্ঠিত হয়। শালিশ শেষে খুকিকে আমার ও তার চাচা মনা মিয়ার জিম্বায় দেওয়া হয়। এবং বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বলেন জালাল উদ্দিনের পরিবারের সাথে স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মিমাংশা করে নিতে। এ মুহুর্তে খুকি তার বাপের বাড়িতে রয়েছে এবং বিষয়টি মিমাংশা করার লক্ষে আমরা চেষ্টা করছি বলে জানান।
এ ব্যাপারে স্বামী প্রবাসী দেলোয়ার মিয়া মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার খুকি তার ৪ সন্তান রেখে এবং তার উপার্জিত সহায়সম্ভল নিয়ে সে তার পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। তাকে পুনরায় স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সমাজ প্রতিনিধিারা সামাজিকভাবে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা করে দিবে বলে দায়ীত্ব নেয়। আমরা উভয় পক্ষের ৭টি সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তা করে সমাজের প্রতিনিধিদের কথা রাখি।
Leave a Reply