অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে প্রাথমিকভাবে বাদ পড়া ৫৪৩ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছিলেন। তাদের আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি চলছে। এ দিন ক্রমিক অনুযায়ী ১৬০ পর্যন্ত আপিলকারীদের আবেদনের শুনানি হবে। দুপুরের বিরতির আগে ১০০ জনের অপিল শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ জন বৈধ, ৪০ জন বাতিল ও দুইজনের আবেদন স্থগিত রেখেছে কমিশন। এছাড়াও একজন প্রার্থীর বিষয়ে দুইটি আপিল আবেদন করা হলেও অনুপস্থিত থাকায় শুনানি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন।
প্রথম দিনে দুপুরের বিরতির আগে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে তৈয়ব আলি, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম।
পটুয়াখালী-৩ মোহম্মদ শাহজাহান, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন সন্যামত, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, জয়পুরহাট-১ ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ হাসাদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আবিদুর রহমান খান, নাটোর-১ আসনে বীরেন্দ্রনাথ সাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আয়নাল হক, গাজীপুর-২ মাহবুব আলম, গাজীপুর-২ জয়নাল আবেদীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জেসমিন নূর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এসএম শফিকুল আলম, হবিগঞ্জ-২ অঅসনে মো: জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ জুবায়ের আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আবদুল্লাহ আল হেলাল, ময়মনসিংহ-২ মো. আবু বকর সিদ্দিক, শেরপুর-২ আসনে এ কে মুখলেসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মোহাম্মদ সোলায়মান খান রাব্বানী।
নাটোর-৪ আসনে আলাউদ্দিন মৃধা, কুড়িগ্রাম-৪ মো: ইউনুছ আলী, বরিশাল-২ আনিচুজ্জামান, ঢাকা-৫ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ এ কে এম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ মো: তোজাম্মেল হক, সিলেট-৫ ফয়জুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মদ তাইবুর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩ সৈয়দ আনুর আহমদ লিটন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫ মো: মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ আবু আসিফ, ঢাকা-১৪ মো: জাকির হোসেন।
পঞ্চগড়-২ আসনে মো: ফরহাদ হোসেন, মানিকগঞ্জ-৩ মো: আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম-৩ আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ মো: মাহফুজার রহমান, চট্টগ্রাম-১ মি: নূরুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ মুখলেসুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-১ মো: মাহবুব আলম, কুমিল্লা- ৫ মো: ইউনুছ, চাঁদপুর-৫ মো: নেয়ামুল বশির, বরিশাল-২, মোয়াজ্জেম হোসেন , চট্টগ্রাম-৩ মোস্তফা কামাল পাশা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মো: আশরাফ উদ্দিন।
অন্যদিকে যাদের আপিল খারিজ হয়েছে তারা হলেন- চাপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নবাব মো. শামসুল হুদা, খাগড়াছড়ির আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, ঝিনাইদহ-১ আবদুল ওহাব, সাতক্ষীরা-২ আফসার আলি, মাদারীপুর-৩ মো. আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর-১-এর মো. পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ এস এম খলিলুর রহমান, ফেনী-১ মিজানুর রহমান।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাইদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো. নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ মো: তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ মো: এমদাদুল হক, খুলনা-২ এস এম এরশাদুজ্জামান, ঢাকা-১ মো: আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ মো: আব্দুল মুহিত, বগুড়া-৬ এ কে এম মাহবুবুর রহমান, রাঙামাটির অমর কুমার দে।
বগুড়া-৪ আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা-১ এস এম মুজিবর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩ মো: বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ মো: আফজাল হোসেন, মৌলভিবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, ফেনী-৩ হাসান আহমদ, ময়মনসিংহ-১০ মো: হাবিবুল্লাহ, জামালপুর-৪ মোহা: মামুনুর রশিদ, বগুড়া-২ আব্দুল কাশেম, নীলফামারী-৪ মো: আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ মো: ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ আখতার হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল ফয়েজ ভূইয়া, কুমিল্লা-১০ আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-২ মো: সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা- ৪ মাহবুবুল আলম, নোয়াখালী-৩ এইচ আর এম সাইফুল ইসলাম, ফেনী-১ মো: নূর আহমদ মজুমদার।
এছাড়াও স্থগিত রয়েছে ঝিনাইদহ-৩ মো: কামরুজ্জামান স্বাধীন, চট্টগ্রাম-৫ আসনের মির মোহাম্মদ নাছির। এবং অনুপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা-১ আসনের শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে
Leave a Reply