নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য, দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে নেতৃত্বের এবং নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগীতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন আমাদের সকলকে তার পক্ষে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
সোজা কথা হলো, নৌকার প্রশ্নে আমি আপোষহীন আর জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা আমার কাছে নির্দেশ। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে নেত্রী নৌকার প্রার্থী হিসেবে যাকে দলীয় প্রার্থী দিয়েছেন আমি তাকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করছি এবং করবো। গতকাল বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এই প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন দেলোয়ার হোসেন ফারুক।
দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন ফারুক। তিনি দেশের সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর চেয়ারম্যান (বেসিস মেম্বারস্ ওয়েলফেয়ার এন্ড মেম্বার সার্ভিসেস)।
এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পদে অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে দল থেকে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেিেছলেন তিনি। তবে ওই আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য মো.তাজুল ইসলামকে।
এরপর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দেওয়া দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে দলীয় প্রার্থী মো.তাজুল ইসলামকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান ফারুক। দু’জনের ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নেত্রীর নির্দেশনা মেনে সংসদ সদস্য মো.তাজুল ইসলাম সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ফারুক নির্বাচনী মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই এই আসনে নৌকার অবস্থান অনেক বেশি সুদৃঢ় হয়েছে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
এই বিষয়ে জানতে দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, নৌকা হলো বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার প্রতীক। তাই নৌকার প্রশ্নে কোন অপোষ নয়। আর জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত মেনে আমি তাজু ভাইকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে সমর্থন দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমার সকল নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছি তাজু ভাইয়ের পক্ষে কাজ করতে। আমিও শীঘ্রই মাঠে নামবো, নৌকার জন্য ভোট চাইবো জনগণের কাছে। ইনশাআল্লাহ আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকা মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত করে কুমিল্লা-৯ আসনটি আবারও আমরা নেত্রীকে উপহার দিবো।
Leave a Reply