অনলাইন ডেস্ক:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ব্র্যাক মোড় সংলগ্ন বাঁশকাটা এলাকায় শনিবার ভোরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় ১৪ জনের পরিচয় জানা গেছে। আর্থিক সহায়তা হিসেবে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফ হোসেন বলেন, নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার এমদাদ আলী, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ইউনুস আলী, নীলফামারীর জলঢাকা মিনারুল খান, কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুরের মাসুদ রানা, কুষ্টিয়ার মিরপুরের আব্দুর রশিদ, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদরের রুবেল হোসেন ও শাহজাহান সিকদার, ঠাকুরগাঁও সদরের আব্দুর রহিম, এনামুল হক ও মকবুল হোসেন, হরিপুরের ইসমাইল হোসেন রুবেল ও বিশ্বনাথ চন্দ্র রায় এবং পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জহিরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, সকালে দুর্ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল সরেজমিনে দেখতে এসে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিকভাবে সহযোগিতার কথা দেন। তাই পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ১৪ জনের মরদেহ হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গে নিহতের পরিবারের সদস্যদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এখন আমাদের কাছে আরও দুটি মরদেহ আছে। তাদের পরিবারের স্বজনরা এলে মরদেহ হস্তান্তরের সাথে সাথে আর্থিক সহযোগিতার টাকাও দেয়া হবে। আমাদের হিসেবে ১৬ জন মারা গেছে। শুনেছি রংপুর মেডিকেলে একজন মারা গেছে। তবে তার সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
এ দিকে গাড়ী চালানোর সময় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় ও বাসের গতি বেশি থাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, বাসচালক দ্রুত গতিতে গাড় চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা নিষেধ করলেও চালক তা শুনেনি। গাড়ির গতি কম থাকলে এতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো না।
Leave a Reply