(জাগো কুমিল্লা.কম)
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ভোটকে সামনে রেখে বিষয়টির আইনি ব্যাখ্যা পর্যালোচনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছে।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, শনিবার কমিশন সভায় সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরে বিস্তারিত জানাবো। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিশেষ পরিপত্র জারি করা হবে বলে জানান এই ইসি কর্মকর্তা।
নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদকে ‘লাভজনক’ হিসেবে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ‘স্বপদে’ বহাল থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পৌরসভা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিষয়েও একই ধরনের নির্দেশনা থাকবে ইসির। সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি ‘লাভজনক’ বিবেচিত হওয়ায় ইতোমধ্যে তাদের পদত্যাগ করে ভোটে অংশ নিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সার্বিক বিষয়ে ইসি আইনী ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরবে। তারা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তা মেনে সিদ্ধান্ত দেবে। এরপরও কোনো বিষয়ে আপিল হলে তা নির্বাচন কমিশনে আসবে। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানান তিনি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ অনুচ্ছেদের প্রার্থীর অযোগ্যতায় বলা হয়েছে- (গ) প্রজাতন্ত্রের বা কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পরবেন না।
উল্লেখ্য যে ‘লাভজনক পদ’ (office of profit) অর্থ প্রজাতন্ত্র কিংবা সরকারি সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের ৫০% এর অধিক অংশীদারিত্ব সম্পন্ন কোম্পানীতে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত কোন পদ বা অবস্থান।
১৯ নভেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা জারির অনুরোধ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার আগে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার আগে পদত্যাগ করতে হবে কিনা-সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ বিষয়ে অনেকের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশনা জারির জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই ও ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে।
Leave a Reply