দেলোয়ার আমার খুব প্রিয় এবং কাছের মানুষ ছিল । অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিল সে , সবসময় তার মুখে হাসি থাকতো ।প্রতি সাপ্তাহে অন্তত একদিন আমার বাসায় এসে আড্ডা দিত , আড্ডার মধ্যমণিও থাকতো সে ।
দেলোয়ার আমার সাথে কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিল , পরবর্তীতে আমি তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছিলাম ।
সকলের প্রিয় এই মানুষটিকে একেবারে খুন করে ফেলার মত শত্রু আছে ভাবা যায় না । তার সাথে আড্ডা দিয়ে মজা পাওয়া যেত বলে আমি আর মাহবুব রাজিব গভীর রাতেও মাঝেমাঝে তার বাসায় চলে যেতাম । তার বাসার সামনে পুকুর পাড়ে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতাম ।
আজ যখন খবর পেলাম দেলোয়ারকে নৌকার নির্বাচনী অফিস থেকে পাশেই বাসায় যাওয়ার পথে , একটি মটর সাইকেলে করে দুজন লোক তারপাশে এসে সামান্য স্লো করে পেছনে বসা লোকটি দেলোয়ারের মাথায় গুলি করে চলে গেছে , আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই -দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ছুয়ে দেখি তার শরীর এখনো গরম , মাথায় ব্যান্ডেজ মুখটি যেন এখনো হাসিহাসি !
তাকে খুন করে কার কি লাভ হতে পারে ? আমি জানিনা । তবে তার পরিবারের ক্ষতি হয়ে গেল অপুরণীয় ।দেলোয়ারের দুটি পুত্র সন্তান , একটি সারে তিন বছর অপরটি সাত মাস বয়সী । এরা বাবার শ্নেহ-মমতা ছাড়াই বড় হবে ।
বাবার হত্যার ন্যায় বিচারও হয়তো পাবেনা তার সন্তানরা , এ ব্যাপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত ।কারন আমাদের দেশে হত্যার বিচার পেতে হলে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয় ! রাষ্ট্রের খুব একটা দায়ীত্ব নেই !!
এডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)
Leave a Reply