(মো. নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর )
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া এক রোগী এবং করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কাঠালিয়াকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের ভাই মুরাদনগরে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী লিটন মিয়া তার বাড়ীতে মৃত্যুবরন করেছে। এছাড়া একই দিনে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন।
নিহতের বাড়ী উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তরত্রিশ গ্রামে। নিহতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ এবং লাশ দাফনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কতৃপক্ষ।
সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় সর্ব প্রথম গত ২৪ এপ্রিল রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের লিটন মিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়। পরে তার পরিবারের আরো ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হলে তাদেরও করোনা সংক্রমন শনাক্ত হয়। তবে গত ৬ই মে দ্বিতীয় বার তাদের নমুনা পরীক্ষায় লিটনসহ তার পরিবারের ৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে আমার ৩য় বার লিটনের কাছ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটির রিপোর্ট হাতে আসার আগেই শনিবার দুপুরে সে তার নিজ বাড়ীতে মৃত্যু বরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, আজ সকালে তার সাথে আমার কথা হয়েছিলো তখন সে সুস্থ আছে বলে আমাকে জানায়। এরপরে তার মৃত্যুর ঘটনায় আমি খুব মর্মাহত। তবে মৃত ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগেও তার শারিরিক সমস্যা ছিলো।
উল্লেখ্য: এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন। বাখরনগরে ১২জন, উত্তরত্রিশ ৫জন, কাঠালিয়াকান্দা ৫জন রহিমপুর ১জন, মোহনা আবাসিকে ১জন, রামচন্দ্রপুর বাজার এলাকায় ২জন, সুরানন্দি গ্রামের ৩জন, পাহাড়পুর গ্রামের ১জন, সুবিলারচর ১জন। এছাড়াও উপজেলা সদর ইউনিয়নের নাগেরকান্দি গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাছির নামের এক প্রবাসী মৃত্যুবরন করেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কাঠালিয়াকান্দা গ্রামের এক পরিবারের ৫ জন থেকে ২য় দফায় দুই জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। অপরদিকে দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের একজন করোনা রোগী পালিয়ে গেলেও এখনো তার কোন খোজ মেলেনি।
Leave a Reply