অনলাইন ডেস্ক:
থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মোবাইল অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ৮টার কিছু পরে থ্রি-জি ও ফোর-জি চালুর ব্যাপারে বিটিআরসি থেকে নির্দেশনা আসে। এরপরই থ্রি-জি ও ফোর-জি চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নির্দেশ দেয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেটের থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ রাখত হবে। ওইদিন রাত ১০টার পর দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনার পর টু জি ইন্টারনেট সেবা চালু ছিল। টু জি ইন্টারনেটে টেক্সট পাঠানো ও গ্রহণ করা গেলেও ছবি ও ভিডিও পাঠানো সম্ভব নয়। ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার কারণে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারও কষ্টকর হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে গত ১৩ ডিসেম্বর এক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাবনা দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সমন্বয়সভায় এই পরামর্শ দেয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সব রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি বলেন, নির্বাচনে মোবাইল ব্যাংকিং ও বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়। এসব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন। ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার ঠেকাতে তিনি নির্বাচনের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি থেকে নামিয়ে টুজি করা এবং ভোটকেন্দ্রে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দেন।
Leave a Reply