মোঃ জুয়েল রানা, তিতাসঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সর্বসাধারণ। বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের। এরই মধ্যে বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ধানকাটা ও মাড়াই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। এমন এক সময়ে কুমিল্লা তিতাসের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পোড়াকান্দি গ্রামের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভিটিকান্দি ইউনিয়ন শাখা। বুধবার (২৯ এপ্রিল) তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের পোড়াকান্দি গ্রামের কৃষক আবুল কালামের এক কানি জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন সচেতনমহল।
এবিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোঃ উজ্জল সরকার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.পারভেজ হোসেন সরকার ও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকিরের সহযোগিতা ও পরামর্শক্রমে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এসময় ধান কাটার মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোঃ আবদুল আজিজ, দেলোয়ার হোসেন সরকার, হেলাল সরকার, আতিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা আবদুল আজিজ বলেন, বুধবার এক কৃষকের ১ কানি ধান বিনা পয়সায় কেটে দেওয়া হয় এবং সেই সাথে মাড়াই করেও দেওয়া হয়। যদি প্রয়োজন হয় পরবর্তীতে অন্যান্য কৃষকদের ধান কেটে দেবে ছাত্রলীগ।
আজকে শুরু করা হলো। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম চলবে। এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ধান কেটে দেয়ায় কৃষক আবুল কালাম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এলাকায় যে পরিমাণ শ্রমিক আছে মজুরি বেশি। আকাশের অবস্থা মাঝে মধ্যে খারাপ হচ্ছে। ঝড় হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারাও কোনো টাকা পয়সা ছাড়াই ধান কেটে দিতে রাজি হন। ছাত্রলীগের ছেলেরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছে তা ভোলার নয়। কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি।
Leave a Reply