মোঃ জুয়েল রানা, তিতাসঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মৎস্য প্রকল্পে বিষ দিয়ে প্রায় ৬লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনায় মঙ্গলবার তিতাস থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের ১১জন যুবকের উদ্যোগে গ্রামের পুর্ব পাশে বাংলাদেশ মডেল একাডেমি সংলগ্ন একটি মাছের প্রজেক্ট করেন। যারা এই মাছ চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা কেউ কেউ রিক্সা ও সিএনজি অটোরিকশা চালান, আবার কেউ বেকারও ছিলেন।এই অসহায় যুবক গুলো চেয়েছিল কর্মের মধ্যে দিয়ে জীবন সংসার চালাতে কিন্তু তা আর হতে দিলনা কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোকেরা। মামলার বাদী ও মৎস্য চাষী মোঃ কামরুল ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, আমরা ১১জন অসহায় যুবক মিলে গ্রামের সকলের সাথে সমন্বয় করে প্রায় ৩ একর জায়গায় ২ মাস পুর্বে এই প্রজেক্টে মাছ চাষ করি এই পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৬লাখ টাকা খরচ হয়েছে। রাতের আঁধারে কে বা কারা আমাদের মাছের প্রজেক্টে বিষ দিয়ে মাছ গুলো মেরে ফেলেছে। যখন আমরা মরা মাছ গুলো উঠাইতে যাই তখন আমাদের গ্রামের প্রজেক্টের জায়গার মালিক ধনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলে মাছ গুলো উঠাইতে পারবি না,আমরা বললাম কেন? তখন সে বলে আমার জায়গায় আমি বিষ দিয়েছি আমার মাছ মরার জন্য তরা মাছ তুলবি কেন? তখন আমরা বুজতে পারছি সেই আমাদের মাছের প্রজেক্টে বিষ দিয়েছে।আমরা গরীব অসহায় মানুষ ঋন করে এই প্রজেক্টে মাছ চাষ করছি এই ঋন আমরা কিভাবে পরিশোধ করবো? আমরা এর বিচার চাই বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি।
অভিযুক্ত ধনু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রজেক্ট আমাদের ৫০ শতাংশ জায়গা আছে। মাছ চাষ করার আগেই তাদেরকে আমি বলছি যে আমার জায়গা ভরাট করে ফেলবো তার পরও তারা জোর করে মাছ চাষ করছে তার পর আমি আর কিছু বলি নাই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বিষ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি দেখেছি কিছু দিন পুর্বে কচুরিপানা মারার জন্য কি ঔষধ জানি তারা দিয়েছে হয়তো সেই কারনেই মাছ গুলো মরেছে। তিতাস থানার এস আই সেলিম সর্দার জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং এই ঘটনায় ১জনের নাম উল্লেখ করে ৫ জন অজ্ঞাত রেখে তিতাস থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
Leave a Reply