স্টাফ রিপোর্টার
সাধারণ মানুষ, নজরুল প্রেমী ও নজরুল গবেষকরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জানার আগ্রহ নিয়ে আসেন কবি নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্র, কুমিল্লা থেকে প্রতিদিন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্রের লাইব্রেরিয়ান মাঝেমাঝে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসেন, একদিন বা দু’দিন থেকে আবার ঢাকা চলে যান।
এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, আরো অভিযোগ রয়েছে সাপ্তাহে যে দু’একদিন দায়িত্বে থাকেন মন মতো অফিসে প্রবেশ করেন, আবার মন মতো বাহিরে চলে যান। তার একজন সহকর্মী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধা কোটায় চাকুরি পেয়েছেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সে আরো দুইটি কেন্দ্র থেকে বদলি করে এখানে পাঠানো হয়েছে। সে এখানের ইনচার্জের কথা ও কোন মূল্যয়ন করেন না। অন্য এক সূত্র মতে, আগামী ব্যান্ড নামে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাই তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। এ প্রতিবেদন লিখার পূর্বে গত আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাস নজরুল ইন্সটিটিউটের গ্রান্থাগার বিভাগ দেখার জন্য ১৩ কার্যদিবস সরে জমিন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এর মধ্যে মাত্র ২দিন সে লাইব্রেরিয়ানকে কর্মস্থলে দেখা যায়। বন্ধ পাঠাগারের সামনে দেখা হয় কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র আলী আজগরের সাথে তিনি বলেন, আগে এ পাঠাগারে নিয়মিত যেতাম। এখন প্রায়ই বন্ধ থাকে তাই আসি না। জেলা গ্রন্থাগার ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর এটা ৫ ঘন্টা খোলা থাকে তাও লাইব্রেরিয়ানকে ঠিক মতো পাওয়া যায় না। তিনি কি সরকারি বেতন ভোগ করেন না ?
এ বিষয়ে জানতে গ্রান্থাগারিক খাইরুল ইসলামকে তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১***৫৮২৮০০ কল দিলে। তিনি জানান ঢাকা আছি কুমিল্লা আসলে সরাসরি দেখা করে কথা বলবো। এই বলে ফোন কেটে দেন।
কবি নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্র, কুমিল্লা প্রধান কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন জানান, আর আগেও ছুটি ছাড়া ৮ দিন অফিস না করায়, কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে ফাইন করা হয়েছে। আর ছুটির বিষয়টি সরাসরি হেড অফিসের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি অফিসিয়াল নিয়ম কানুন মেনে চলেন না। আমরা তাকে কয়েক বার সতর্ক করে দিয়েছি।
জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা বেতন ও সরকারি সুবিধা ভোগ করবেন, দায়িত্ব পালন করবেন না, এটা হতে পারে না। বিষয়টি আমরা দেখতেছি।
Leave a Reply