অনলাইন ডেস্ক:
দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মহাভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। টোলপ্লাজা ঘিরে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহনে বসেই রাত যাপন করে দিন অতিবাহিত করছেন অসংখ্য যানবাহন ও তাদের যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারী) রাত ১১ টা থেকে থেকে শুরু হওয়া এ যানজট বুধবার (৯ জানুয়ারী) রাত পর্যন্ত বহাল রয়েছে। যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলছে। গাড়ির গতি কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এই মহাসড়কে মালবাহি যানবাহনের জন্য এমনিতেই যানজট লেগেই থাকে। গোমতী ও মেঘনা সেতু এলাকায় টোল আদায় করতে গিয়ে টোল আদায়কারি কর্মকর্তাদের সাথে চালক-হেলপারদের কথা কাটাকাটিতে কালক্ষেপণের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যানজট প্রকট হলে কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে ৮/৯ ঘন্টা সময় লাগে। যেখানে যানজট না থাকলে কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা সময় লাগে। আবার নির্মাণাধীন দ্বিতীয় গোমতী, মেঘনা ও কাঁচপুর সেতুর কারণেও এ মহাসড়কে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে মেঘনা সেতু থেকে দাউদকান্দির বারাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিঃমিঃ সড়ককের উভয় পাশে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে প্রায় ৯/১০ ঘন্টা সময় লাগছে। সকালের দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে গৌরিপুরের বারাপাড়া পর্যন্ত ৭ কিঃমিঃ অংশে যানজট প্রকট থাকলেও ঢাকা থেকে কুমিল্লা আসার অংশে যানজট কমেছে।
রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসা বাসের যাত্রী কুবির শিক্ষার্থী সাইমুম হাসান জানান, জানান, রাত ৯ টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ভোর ৬ টায় কুমিল্লায় এসে পৌছেছি। সারারাত বাসেই বসে ছিলাম। একই জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা বাস আটকে ছিল।
রহিম মিয়া নামের এক বাসের হেলপার জানান, মেঘনা এলাকায় রাস্তার দুপাশেই যানজট । কিভাবে বাস চলবে। একই জায়গায় ২/৩ ঘন্টা বসে থাকতে হয়।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ দুপুরে জানান, কুমিল্লার অংশে ৭ কিঃমি যানজট রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার অংশে যানজট নেই। তবে মেঘনা সেতু এলাকায় তীব্র যানজটের প্রভাব এ অংশে পড়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
Leave a Reply