অনলাইন ডেস্ক:
খামোশ বললেই মানুষের মুখ খামোশ হবে না। লজ্জা কম বলেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা খামোশ বলতে পারে।’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, আজকে আমরা দেখি তাদের পরিবারের সদস্যদের বিএনপিসহ যে ঐক্য করা হয়েছে তাতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, যারা এত বড় অপরাধ করল আর যে পাকিস্তানী বাহিনীকে আমরা পরাজিত করলাম তাদের এই দোসরদের যখন ধানের শীষে মনোনয়ন দেওয়া হলো আর এই ধানের শীষ নিয়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিল তারা একই সঙ্গে কিভাবে নির্বাচন করবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর তারা জাতির কাছে দিতে পারবে কি না? তবে হ্যাঁ, তাদের লজ্জা একটু কম লাগে বলেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে খামোস বলতে পারে।’প্রসঙ্গত, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে জামায়াতে ইসলামী নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর রেগে যান ড. কামাল হোসেন।জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে ড. কামালকে তার অবস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এখন না, এখন না। এখানে (স্মৃতিসৌধে) কোনো কথা না বাইরে। এই জায়গায়, শহীদ মিনারে আর কোনো কথা না।’
এ সময় এক সাংবাদিক তার দিকে এগিয়ে এসে প্রশ্ন করেন, ‘স্যার তার (জামায়াত) দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, কিন্তু তারা তো নির্বাচন করবে।’ এর পর পরই ওই সাংবাদিকদের ওপর চটে যান ড. কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই উঠে না। কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছো এই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক প্রশ্ন করতে? তোমার নাম কী? চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা।’
এ সময় তিনি ওই সাংবাদিককে ব্যাঙ্গাত্মক করে বলেন, ‘শহীদদের কথা চিন্তা করো। চুপ করো। চুপ করো, খামোশ। আশ্চর্য।’ড. কামাল আবারও ওই সাংবাদিকের দিকে এগিয়ে এসে প্রশ্ন করেন, ‘তোমার নাম কী? কোন পত্রিকা।’ এ সময় ওই সাংবাদিক ‘যমুনা’ বললে তিনি জবাব দেন, ‘যমুনা টেলিভিশন জেনে রাখলাম।’
Leave a Reply