( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিব্ধ হয়ে মো. সুমন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে জেলার দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের ছেচরাপুকুরিয়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত সুমন উপজেলার কুরুইন গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। পুলিশের দাবি- তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, একদল ডাকাত দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের ছেচরাপুকুরিয়া এলাকার রাস্তার মাথায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে। এসময় সশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় ১৯ রাউন্ড শটগানের গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ের সময় নিজেদের (ডাকাত) গুলিতেই সুমন গুরুতর আহত হয় বলে দাবি করেন ওসি।
আরও জানান, কুখ্যাত ডাকাত সুমনের বিরুদ্ধে রাত ৩টা পর্যন্ত অন্তত ১৮টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। মামলার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি জানান, ডাকাত সুমন এলাকায় একটি আতংক হিসেবে ছিল। সে এলাকায় আসলেই কোন না কোন গ্রামে ডাকাতি হতোই। বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনা পর্যালোচনায় বেড়িয়ে এসেছে সুমনের রোমহর্ষক কাহিনী। ওসি জানান, ডাকাতি করতে গিয়ে ধর্ষণই ছিল সুমনের নেশা। রাতেই ডাকাত সুমনের নিহতের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়রা স্বস্থি প্রকাশ করছেন।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই অভিযানের সময় থানার এসআই আসাদ, এএসআই ইনতাজ ও কং মনির আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি মো. মিজানুর রহমান।
ওসি আরও জানান, নিহত ডাকাত সুমনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার, চান্দিনা, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ আরও অন্যান্য অভিযোগে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১ রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান, কয়েকটি মুখোঁশ, ছোরা ও শাবল উদ্ধার করেছে। ( ফাইল ফটে)
Leave a Reply