(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং)
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নে মো: কামাল হোসেনের মেয়ে মোসা: শান্তা আক্তার (২২) কে যৌতুকের দায়ে আড়াইওড়া স্বামীর বাড়ির শ^াশুড়ি ননদ মিলে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজহার সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের মো: কামাল হোসেনের মেয়ে শান্তা আক্তারকে ৩ বছর পূর্বে কুমিল্লা আদর্শ সদর আড়াইওড়া পশ্চিম পাড়ার মো: মজিবুর রহমান ভুলু’র ছেলে প্রবাসী মো: ইব্রাহীমের সাথে মোবাইলে আলাপন তারপর পারিবারিক ভাবে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মো: ইব্রাহীম বিদেশে চলে যাওয়ার পর শ^াশুড়ি ননদ মিলে শান্তা আক্তারকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে ।
নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন শান্তা আক্তার। এব্যাপারে কয়েক বার গ্রাম্য সালিশ বসলে মিমাংসা করে দিলেও থেমে যায়নি শাশুড়ি ননদের কর্তৃক শান্তা আক্তারের শারীরিক নির্যাতন। প্রবাসী মো: ইব্রাহীমের কাছে মোবাইল ফোনে বললেও কোনো গুরুত্ব দেয়না এবং ঘর তোলার জন্য ৫ লক্ষ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করেন এবং আরো বলেন “টাকা দিতে পারলে আমার বাড়িতে থাকবি না হয় বাবার বাড়িতে চলে যা”। এই ব্যাপারে দুই এলাকার চেয়ারম্যান সাহেব সর্দার কে নিয়ে কয়েক বার সালিশে বসলেও বন্ধ হয়নি শান্তার আক্তারের শারীরিক নির্যাতন।
নির্যাতনের শিকার সহ্য করতে না পেরে শান্তা আক্তারকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে এসে পরে তার বাবার বাড়ির লোকজনেরা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে যার নং- সিপি৬৬০/১৮, তারিখ-৩/৭/২০১৮ ইং। নির্যাতিত শান্তা আক্তারের সাথে কথা বলিলে তিনি বলেন আমার মা বাবা গরীব ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নাই। তাদেরকে কয়েক বার বুঝিয়ে বলা হয়েছে তবুও তারা মানতে রাজি না। আমার স্বামী এবং শ^াশুড়ি ননদ সবাই আমাকে প্রায় সময় কোনো একটা উছিলা করে আমাকে মারধর করে এবং একবার আমার আম্মুর সামনেও আমাকে মেরেছে।
আমার স্বামীর কাছে বলেও আমি কোনো শান্তনা পাইনি বরং সে আমাকে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ দেন। শান্তা আক্তার আরো বলেন, আমি তো কোনো অপরাধ করি নাই তবুও কেন আমাকে এমন ভাবে নির্যাতন করবে। আমি স্বামীর সংসার করতে চাই।
Leave a Reply