( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লায় প্রার্থীদের যাচাই বাছাইয়ে ১৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহীসহ ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাকী ৯৮ জনকে কুমিল্লা জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
ঋণ খেলাপি,ভোটার স্বাক্ষর না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে কুমিল্লায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী কেএম মুজিবুল হক, তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী জুন্নুন বসরী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও তার ছেলে আহসানুল আলম কিশোর,কুমিল্লা- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ইউনুস এবং কুমিল্লা-১০ আসনে আবদুল গফুর ভূইয়া।
এদিকে কুমিল্লা-১ আসনে ৩জন, কুমিল্লা-২ আসনে ৫জন, কুমিল্লা-৩ আসনে ১০জন, কুমিল্লা-৪ আসনে ৫জন, কুমিল্লা-৫ আসনে ৪জন এবং কুমিল্লা-৬ আসনে ১জন, কুমিল্লা-৮ আসনে ১জন, কুমিল্লা-৯ আসনে ৩জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৩জন, কুমিল্লা-১১ আসনে ১জনসহ সর্বমোট ৩৬ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। কুমিল্লা-৭আসনে কারো প্রার্থীতা বাতিল করা হয়নি।
এদিকে মনোনয়ন বাতিল হওয়া কুমিল্লা-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী কেএম মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের টেক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, সম্পদের বিবরণসহ সব কিছুই হফল নামায় দেয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে ফাইল থেকে আয়করের একটি কাগজ গায়ের করে দেয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর জানান,যে সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সাথে বিধি মোতাবেক তথ্য ও কাগজ পত্রের সমস্যা আছে তাদেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, এতে ইচ্ছেকৃতভাবে কারও কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার বিষয়টি সঠিক নয়, কোন প্রার্থী ইচ্ছে করলে নির্বাচনে কমিশনে এ বিষয়ে আপিল করতে পারবে।
Leave a Reply