অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ কারণে রুহুল আমিন হাওলাদারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙাকে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক- এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
মশিউর রহমান রাঙাকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘আপনাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হল। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি আপনি এ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।’
জাতীয় পার্টির একজন সিনিয়র নেতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে দরকষাকষির সময় জাতীয় পার্টিতে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে খোদ দলীয় নেতাদের মধ্য থেকেই।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েকজন প্রকাশ্যে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আনেন এবং তাদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার।জাতীয় পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মনোনয়ন নিয়ে যা ঘটেছে তাতে জেনারেল এরশাদ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
নতুন রাঙ্গা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো ফেলে দেওয়ার মতো দল নয়। এর আগে আমরা সরকারে ছিলাম। আবারও দল একটি পর্যায়ে আসার পর অশুভশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এজন্য দলে পরিবর্তন এসেছে। তদন্ত করে কোনো অনিয়ম পেলে বহিষ্কারও হতে পারেন কেউ কেউ।তিনি আরো বলেন, আমাকে তিনবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। আমি দল থেকে বেরিয়ে যাইনি। যারা দল থেকে বেরিয়ে গেছেন আপনারা আসুন, যে অবস্থানে আপনারা আছেন সে অবস্থানে রাখা হবে। চেয়ারম্যান দলের পিতা। তিনি বকা দেবেন, ভুল করলে বহিষ্কার করবেন। তাই বলে দল থেকে চলে যাবো কেনো। আমি যাইনি বলে আজ একটা পর্যায়ে আসতে পেরেছি।
রুহুল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না গনমাধ্যমকে বলেছেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মহাসচিব পরিবর্তন করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান এবং সে এখতিয়ার ওনার আছে।
উল্লেখ্য, এরশাদ সরকারের আমলে রুহুল আমিন হাওলাদার মন্ত্রী ছিলেন। তবে তিনি প্রথম মহাসচিব হয়েছিলেন ২০০২ সালে। এরপর ২০১৩ সালের এপ্রিলে তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন হসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরবর্তীতে অব্যহতির দুই বছর পরে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তাকে আবার মহাসচিব নিযুক্ত করা হয়।
Leave a Reply