অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ওয়েলফেয়ার ইউনাইটেড কে ৩৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়েল অফ গোমতী। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ফাইনাল খেলায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল কুমিল্লা শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। দীর্ঘদিন পর এমন দর্শকপূর্ণ গ্যালারী দেখে আবার ক্রিকেটের সুদিন ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন দর্শক কর্মকর্তা এবং খেলোয়ারবৃন্দ।
ফাইনালে ২৫ হাজার দর্শক গ্যালারীতে উপস্থিত থেকে খেলা দেখে। তবে এর চেয়েও বেশী দর্শক ছিলো কুমিল্লা স্টেডিয়ামের বাইরে। কাউন্সিলর কাপকে ঘীরে যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার জানান কুমিল্লার ক্রীড়াংগনের উন্নয়নের জন্য সবকিছু করা হবে। তিনি বলেন, গ্যালারী দর্শক ধারণ ক্ষমতা দিগুন করা হবে। এম.পি বাহার বলেন, কুমিল্লাবাসী আবার প্রমাণ করেছে কুমিল্লা পথিকৃত। দীর্ঘ সময় পর এরকম গ্যালারী ভর্তি দর্শক কুমিল্লার ক্রীড়াকে আরো এগিয়ে নিবে এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে এটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ক্রিকেট কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, সভাপতির বক্তব্য রাখেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের সমন্বয়ক জেলা ফুটবল এসোশিয়েশন এর সভাপতি আরফানুল হক রিফাত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহ্সান ফারুক রোমেন, ক্রিকেট কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম রনি, ক্রিকেট সহ সভাপতি ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সিনিয়র পরিচালক মোস্তফা হেলাল কবীর, জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহ্সীন বাহার সুচনা, ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক নাসিম ইউসুফ রেইন।
অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন রয়েল অব গোমতী ও রানার আপ ওয়েল ফেয়ার ইউনাইটেড এর খেলোয়ারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
টুর্নামেন্টে ১০৪ রান ও ৬ ওইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য সিরিজ ও ফাইনাল খেলায় ৩৭ বলে ৩১ রান ও ৩ ওভারে ২ ওইকেট নিয়ে ১৯ রান দিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন রয়েল অব গোমতির শাহ্ পরান।
অনুষ্ঠানে ফাইনাল ম্যাচের আম্পায়ার ম্যাচ রেফারীদের হাতেও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
ফাইনাল ম্যাচে টচে জিতে রয়েল অব গোমতী ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১৯৮ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করে জসিম উদ্দিন ৬০, সামছুর রহমান ৫৭। হাই প্রোফাইল ম্যাচের ১৯৯ রানের টার্গেটে জয়ের লক্ষে মাঠে নেমে শুরুটা ভালো হলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতায় ম্যাচ হাতছাড়া হয় ওয়েলফেয়ার ইউনাইটেডের। ১৯ ওভার খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েলফেয়ারের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করে মোঃ জাকির হোসেন।
রয়েল অব গোমতী ৩৩ জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
ফাইনাল ম্যাচে ম্যাচ রেফারীর দায়িত্বে ছিলেন খাইরুল আলম সোহাগ। খেলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ আজিম ও মোঃ সেলিম। স্কোরারের দায়িত্বে ছিলেন মোঃ হাবিব মোবাল্লেগ জেম্স। টুর্নামেন্ট পরিচালনায় বিভিন্ন ভাবে দায়িত্ব পালন করেন মুকিম উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মুকিব টিপু, জাবেদ হাসমী, আবুল কালাম আজাদ, সারোয়ার জাহান, ফয়সাল বারী মজুমদার মুকুল, কাজী শামীম, মোঃ আলামিন, দেলোয়ার হোসেন জাকির সহ ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ।
Leave a Reply