(মাহফুজ বাবু, কুমিল্লা)
“সকলেই জানেন কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের মহামারীতে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও হিমসিম খাচ্ছে। মরনঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিদিনই হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৪৪জন এবং প্রাণ হারিয়েছে ৫জন। বাংলাদের সরকার দেশ ও দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখতে এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিকিৎসা আবিস্কার না হওয়ায় এ থেকে বাঁচতে প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এ ভাইরার ছড়ায় তাই মহামারী রুখতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল এবং অপ্রয়োজনে বাইরে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের মালিক অর্থাৎ জনগণের মঙ্গলের জন্যই নিজেদের নিরাপত্তায় ঝুকি থাকলেও বাইরে ঘুরছি। আমাদের ছুটি কেন্সেল করা হয়েছে, এমনকি সরকারি ছুটির দিনেও দায়িত্ব পান করতে হচ্ছে দেশ ও মানুষের কল্যাণে।
জরুরী প্রয়োজনে মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না। পারিবারিক জরুরী প্রয়োজনে বের হলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন এবং গণজমায়েত বা একসাথে আনেক লোকের আড্ডা থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঘর বাড়িতেও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। অভিভাবাকগণ শিশু কিশোরদের বাড়িতে রাখার চেষ্টা করবেন।” উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ও বিভিন্ন হাটে বাজারে এভাবেই জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছিলেন বুড়িচংয়ের এসিল্যান্ড তাহমিদা আক্তার।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গণ-সচেতনতা বৃদ্ধি ও মোইবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়। নিমসার, কাবিলা সহ বিভিন্ন হাট বাজারে মোবাইল কোর্টের অভিযানে অকারনে বাজারে নিরাপত্তা ব্যাতিত মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরার করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। এসময় মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের কাছে টাকা না থাকলে নিজের টাকায় মাস্ক কিনে দেন কয়েকজন কিশোর কে। এছাড়াও মূল্য তালিকা না থাকায় এবং অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় সহ বিভিন্ন অভিযোগে ভোক্তা অধিকার আইনে কয়েকটি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা সহকারি ভুমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) তাহমিদা আক্তার। অভিযানে বুড়িচং থানা পুলিশের এএসআই দেলোয়ার সহ সঙ্গীয় ফোর্স সার্বিকভাবে সহযোগীতা প্রদান করেন।
Leave a Reply