(আকিবুল ইসলাম হারেছ, চান্দিনা)
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লার রাস্তায় রাস্তায় বাঁশ বেধে লকডাউন করে দিয়েছে এলাকার জনসাধারণ ও গ্রামের যুবকরা।
বুধবার বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রবেশ পথে এমন চিত্র দেখা গেছে।উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নবাবপুর বাজার,গল্লাই কমপ্লেক্স,কালিয়াচর বাজার,তালতলী বাজার,জিরুআঈশ,রসূলপুর,হারং,হাড়িখোলা,ডুমুরিয়া,নুরিতলা,পশ্চিম বেলাশ্বর,বদরপুর,বড়গোবিন্দপুর,বড়কলাগাঁও,হোসেনপুর,ছাতাড্ডা,কাজিপাড়া,মহিচাইল,দেওকামতা গ্রামের মানুষজন গ্রামের প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছেন। সেখানে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। সেখানে লেখা রয়েছে ‘প্রশাসন ও জনপনিধি ছাড়া বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষেধ।’
ছাতাড্ডা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা বলেন, এছাড়া আশেপাশের এলাকা থেকে কিছু যুবক আড্ডা দেয়ার জন্য প্রতিদিন এখানে আসে। তাদের মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে, তাই গ্রামে করোনা ঝুঁকি এড়াতে সচেতন গ্রামবাসী মিলে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
কায়সার কবীর মিলন জানান, সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করতে এবং গ্রামকে সুরক্ষিত রাখতে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এবং গ্রামবাসী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে যাচ্ছেন না।
গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,গ্রামের প্রবেশ মুখ বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে গ্রামের যুবকরা। যুবকরা জানান, যানবাহন চলাচল ও গ্রামের মানুষের চলাচল সীমিত করতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে প্রশাসনের সকল যানবাহন ও ত্রানসামগ্রী বিতরণের জন্য চলাচলকারী যানবাহন লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক গ্রামের বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে নিজ নিজ গ্রাম লকডাউন করা শুরু করেছেন।জনসমাগম ও বাজারে লোকসমাগম মূল সড়ক ছাড়া সব গ্রামীন সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে জনসমাগম না হয়।
বাড়েরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রাম লকডাউন করার খবর পাচ্ছি। নিজে সচেতন না হলে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব না। গ্রামবাসীর মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি হওয়ায় জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। তবে প্রশাসনিক কাজে যাতে বাধার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ বলেন,আমাদের পক্ষ থেকে এখনো এলাকা লকডাউন করার পরিকল্পনা নেই।তারা এটা নিজেদের উদ্যোগে করেছেন।জরুরি সেবা ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেরিকেডগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে তিনি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,মানুষ যাতে ঘরে থাকে, সেই বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply