আকিবুল ইসলাম হারেছ,চান্দিনা।
কুমিল্লার চান্দিনায় মা-ছেলেসহ তিনজন করো,নাভাইরাসে আক্রা’ন্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজে’লায় ৭ জন করো’নায় আক্রা’ন্ত হলো।
বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আহসানুল হক মিলু।আক্রা’ন্তরা সবাই চান্দিনা পৌরসভার বাসিন্দা।চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে আক্রা’ন্তদের বাড়ি,ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লকডাউন করেন।
চান্দিনা উপজে’লা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আহসানুল হক জানান,২৮ এপ্রিল ৬ জনের নমুনা ঢাকা আইইডিসিতে পাঠানো হয়।বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারা হলেন-চান্দিনা হারং এলাকার ৫৫ বছর বয়সী এক সাবেক সেনা সদস্য ও ধাঁনসিড়ি এলাকার ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা ও তার ৪০ বছর বয়সী মুদি দোকানদার ছেলে।
তিনি আরো জানান,আক্রা’ন্ত ছেলেটির ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় মুদি দোকান রয়েছে।এছাড়া তিনি সংক্রমিত এলাকায় ঘোরাফেরা করেছেন।সেখান থেকেই সংক্রমিত হতে পারেন।আর তার থেকেই তার মা সংক্রমিত হয়।
আক্রান্ত অপরজন পরিবারের একজন সদস্যের চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই নগরীর ট্রমা সেন্টার লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে চান্দিনা সদর সংলগ্ন পাশর্বর্তী দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের করোনা আক্রা,ন্ত হয়ে মৃ,ত্যুবরণ করা মো. শাহজালাল মেম্বারের সংস্পর্শে আসা বাগুর টাওয়ার জামে মসজিদের ইমামও করো’নায় আক্রা’ন্ত হয়েছেন। ওই ইমাম এর বাড়ি চান্দিনা উপজেলা সদরের খান বাড়িতে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তার করো’না পজেটিভ রিপোর্ট আসে। খবর পেয়ে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজে’লা প্রশাসন ওই ইমাম সাহেবের খানবাড়িস্থিত বাসা ও তার স্বজনদের বাসাও লকডাউন করেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ জানান, উপজেলায় নতুন করে শনাক্ত ৩ জনের বাসভবন ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া দেবিদ্বারের মসজিদের ইমাম যিনি ক’রোনা পজেটিভ হয়েছেন তার বাসাও লকডাউন করা হয়েছে। এখন তাদের সংস্পর্শে আসাদের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে।
Leave a Reply