(আকিবুল ইসলাম হারেছ, চান্দিনা)
আগের দিন হয়েছে তিশার গায়ে হলুদ। পরদিন বিয়ে। তিশার বিয়ে উপলক্ষে বাড়ির সামনে বিরাট তোরণ, বাড়ির উঠানে প্যান্ডেল, এক পাশে বরের মঞ্চ। লাল-নীল ও সবুজ বৈদ্যুতিক বাতির বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে বিয়ে বাড়ি।
খাবার প্যান্ডেলে চলছে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশিদের প্রীতিভোজ। ঘরে মেহেদী হাতে বিয়ের সাজে সাজানো হচ্ছিল কনে তিশাকে। বর আসার অপেক্ষায় রয়েছে তিশার পরিবার। সোমবার দুপুর তখন ১টা। বিয়ে বাড়িতে বর যাত্রীর পরিবর্তে হঠাৎ পুলিশের উপস্থিতি। হতভম্ব হয়ে পরে বিয়ে বাড়িতে আগত সব লোকজন। এদিক-সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে কনে পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে খুঁজতে শুরু করে তিশা ও তার অভিভাবকে। পুলিশের সামনে এসে দাঁড়ান তিশার পিতা জামাল হোসেন। পুলিশ বলেন, বিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরে জামাল হোসেনের। বিধিবাম! পুলিশ বাধ্য করেন বিয়ে বন্ধ করতে।
কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল মরিয়ম আক্তার তিশা।সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের শব্দলপুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে স্কুলছাত্রী তিশার বিয়ের আয়োজন করা হয় একই উপজেলার শালিকা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর সঙ্গে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজনের খবর পাওয়ার পর বিয়ে বাড়িতে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ওয়াহিদ ও পিএসআই নাজমুল হোসেন সহ একটি টিম পাঠিয়েছি। পরে কনের পিতা মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা দেওয়ার পর বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা ভেঙে দেওয়া হয়। তিশার মতো কিশোরীদের বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
Leave a Reply