আকিবুল ইসলাম হারেছ,চান্দিনা।
কুমিল্লার চান্দিনায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২২টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।শনিবার মাঝ রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা বাস স্টেশনের ফল মার্কেটে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
অগ্নিকান্ডে ৩টি কনফেকশনারি দোকান, ১টি খাবার হোটেল, ১৮টি ফল দোকান ভষ্মিভূত হয়। এতে ব্যবসায়ীদের ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর স্থানীয়দের সহযোগীতায় চান্দিনা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটের দমকল কর্মীরা আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে সবকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। বৈদ্যুতিক কোন স্পার্ক থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারানা করছেন দমকল কর্মীরা।
সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে অনেকেই খেজুরসহ বিভিন্ন রকম ফলের নতুন চালান এনেছিলেন। তাদের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে ফাইজা স্টোর, সিহাব স্টোর, জলিল ফল ভান্ডার, সুমন এন্ড বাবুল ফল ভান্ডার, মুসলিম স্টোর, সবুজ ফল ভান্ডার, করিম ফল ভান্ডার, দেলোয়ার ফল দোকান, খলিল ফল দোকান, জলিল ফল দোকান, হাফিজ স্টোর, সওদাগর স্টোর, জুনাইদ স্টোর, মিজান ফল দোকান, মনির ফল দোকান, জহিরুল হক ফল দোকান, বাচ্চু মিয়া ফল দোকান, চন্দন চা স্টল, হারেছ আহম্মেদ ফল দোকান, মামার বাড়ি হোটেল, সুনিল রবি দাস ও লাখানা রবি দাসের জুতার দোকান পুড়ে যায়।
চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মো. শফিক উদ্দিন মুন্সী জানান, খবর পেয়ে আমরা দুইটি ইউনিট নিয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলে যাই। আগুন ছড়িয়ে পরার আগেই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে টিন শেড ফলের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গিয়েছে।আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন- করোনা পরিস্থিতির কারণে বিকাল ৪টার দিকেই দোকানগুলো বন্ধ করে ফেলেছিলেন দোকানিরা। এখানে এলোমেলো ভাবে অনেক বৈদ্যুতিক তার ছিল। আমরা ধারনা করছি তারের স্পার্ক থেকেই হয়তো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সকালে চান্দিনা পৌরসভার মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম ও চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. আবুল ফয়সল ক্ষতিগ্রস্থ স্থান পরিদর্শন করেন।বিকেলে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২২ জন ব্যবসায়ীকে ত্রাণ দিয়েছেন চান্দিনা পৌরসভার মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম।
চান্দিনা পৌরসভার মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ পাবেন। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুড়ে যাওয়ায় এখন তারা সম্পূর্ণভাবে বেকার হয়ে পড়েছেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।
Leave a Reply