অনলাইন ডেস্ক:
দেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। আর এই চাঁদপুর ইলিশের জন্য দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিত। এখানকার ইলিশের বাজার দেশের মধ্যে অন্যতম। বছরের এ সময় পা ফেলারও জায়গা মেলে না চাঁদপুরের সবচেয়ে বৃহৎ ইলিশের বাজার বড়স্টেশন আড়তে। ঈদের পর থেকে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের আমদানি অনেক বেড়েছে। তাই ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়ে জমজমাট মাছঘাট। আমদানী ও সরবরাহ বাড়লেও চাঁদপুরে দাম কমছে না ইলিশের। বর্তমানে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের আমদানি বেশি পরিমাণে হওয়ায় রাতের বেলাও জমজমাট হয়ে উঠেছে পাইকারি বাজার।
চাঁদপুর বড়স্টেশন আড়তে বড় আকারের অর্থাৎ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়, মাঝারি আকারের ইলিশ ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির কম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়, আর ছোট আকারের অর্থাৎ ৫০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রামের নিচে পর্যন্ত ইলিশ কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর এই ইলিশের সবই নামার (সাগর উপকূলীয় এলাকার) ইলিশ বলে পরিচিত। হাতিয়া থেকে অধিকাংশ ইলিশ আনা হচ্ছে এখানে। ভরা মৌসুমে লোকাল নদ-নদীতে (পদ্মা-মেঘনায়) ইলিশের তেমন দেখা না মিললেও জেলেরা সাগরে প্রচুর ইলিশ পাচ্ছে। হাতিয়ার ইলিশ বেপারি ও ফিশিং বোটের লোকজন জানায়, ঈদের আগে ইলিশ পাওয়া গেছে কম। ঈদের পর দুই-তিন দিন বাতাস পেয়ে সাগর জেগে উঠায় আবারও ইলিশ পাচ্ছেন তারা। সেই ইলিশ কেউ ঝুড়িতে করে সড়কযোগে আবার অনেকে সমুদ্রের জেলে বোটে বোঝাই করে চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসছে।
ইশতিয়াক আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ভেবেছিলাম কোরবানির সময় ইলিশের দাম কম থাকবে। কিন্তু তবে এ বছর দাম বেশ চড়া। কেন তা জানি না। তবে দাম আরও কম থাকার কথা। নুরুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ইলিশের বাজার ঘুরছি। তবে দাম বেশ চড়া। এমনটা আশা করি নাই। আবুল কালাম নামে অন্য ক্রেতা জানান, বেশ চড়া দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। অন্য বছর কোরবানির সময় ইলিশের দাম কিছুটা কমই থাকে। তবে এ বছর নাকি মাছ কম, তাই দামও কমেনি।
দাম কেন চড়া এমন প্রশ্নের উত্তরে ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, মাছ কম থাকায় এখন দামটা একটু চড়া যাচ্ছে। আসলে এবার বৃষ্টি কম হয়েছে। তাই পানিও ছিল কম। এতে এ নদীতে মাছও এসেছে কম। ফলে দাম চড়া। তাছাড়া আমাদের জেলেরা এখনও সেভাবে মাছ ধরতে যায়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই যাবে। তখন যদি প্রচুর মাছ ধরা পড়ে, তাহলে হয়তো দাম কমে যাবে।
Leave a Reply