অনলাইন ডেস্ক:
বীরত্ব,সাহসিকতা ও সেবার কৃতিত্বসরূপ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্রীয় পদক বিপিএম (সেবা) পেয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ।
পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুলিশ সদস্যদের রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের রীতি অনুযায়ী এ বছরে চতুর্থবারের মতো কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিপিএম (বার) পিপিএম বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সেবা) পদকের জন্য মনোনীতহওয়ার পর সোমবার ০৪ ফেব্রুয়ারী-২০১৯ তারিখে ঐতিহাসিক রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৌরবজনক এই পদকটি পরিয়ে দেন।
ইতোপূর্বে সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাহসিকতার জন্য ২০১১ সালে পি.পি.এম পদক, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বি.পি.এম অর্জন করেন।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের জালমাছমারি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা এবং বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার পিতা- বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কশিমুদ্দীন মিঞা, মাতা- মরহুম গুলনাহার বেগম। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী হোসেন।
১৯৮৬ সালে লালমনিরহাট বাংলাদেশ রেলওয়ে চিলড্রেনপার্ক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ম বিভাগে এস.এস.সি, ১৯৮৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি, ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি, ১৯৯৩ সালে এম.এস.সি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এম.এ.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম ২০তম বি.সি.এস এর মাধ্যমে ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ারী জোন, ডিএমপি, ঢাকা, বিশেষ পুলিশ সুপার (এস.বি) ঢাকা এবং পুলিশ সুপার ময়মনসিংহে অত্যান্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে ১৪ আগস্ট-২০১৮খ্রিঃ ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার থাকাবস্থায় তিনি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, কামরুজ্জামান, এটিএম আজহারুল ইসলাম, কাদের মোল্লা’কে গ্রেফতার করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীন সৈয়দ নুরুল ইসলাম মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
জনবান্ধব সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর্ত মানবতার সেবায় তিনি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ২০তম বিসিএস ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। একজন সুদক্ষ সংগঠক এবং সুবক্তা হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।
Leave a Reply