অনলাইন ডেস্ক:
পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনে কুমিল্লার দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের খবির উদ্দিন নাহিদের(৩৩)ও হোমনা থানার কাওসার (২৬)।
সকাল ৮টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে মানুষের ভীড়। স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী। কেউ ডুকরে কাঁদছেন। কেউ আবার কাঁদছেন চিৎকার করে। এসময় দেখা গেলে মা ও ছেলে অঝরে কান্না করছেন।সান্ত্বনা দেওয়ার আগেই রাস্তায় বসে পড়লেন তারা।
পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনের ঘটনায় তাদের পরিবারের এক সদস্য মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন তারা। মারা যাওয়া ছেলের নাম কাওসার। এ কথা শুনে বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তার মা। জ্ঞান ফিরে আসলে বিলাপ করছেন।
কাওসারের ছোট ফুটফুটে দুই সন্তান রয়েছে। বাবার সন্ধানে তারাও এসেছে মর্গের সামনে। বাবাকে না দেখতে পেয়ে কান্না করছে তারা। আর স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন কাওসারের স্ত্রী মুক্তা।মর্গের সামনে থাকা কাওসারের বন্ধু আরিফ বলেন, কাওসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ১৭তম হয়েছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চকবাজারে মদিনা মেডিকেল হল ক্লিনিক চালাতেন কাওসার। ঘটনার দিন ওই ক্লিনিকেই ছিলেন তিনি।
কাওসারের ভাই ইলিয়াস বলেন, আমি ভাইকে অনেক বার ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। আমরা জানতে পেরেছি আমার ভাই মারা গেছেন।তিনি জানান, মা, ভাই, স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ কাওসার থাকতেন চকবাজারে। আগুনের সময় ক্লিনিকের ভবনের গেট বন্ধ ছিল। খোলা থাকলে হয়তো তাকে খুঁজে পাওয়া যেত।তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায়। তারা সপরিবারে পুরান ঢাকায় থাকতেন।
ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের খবির উদ্দিন নাহিদের(৩৩) জীবন।ঢাকা চকবাজারে অগ্নি কান্ডে নিহত ৭৬ জনের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের নাহিদও রয়েছেন।নিহত নাহিদ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতকারা গ্রামের দ: পাড়ার সৈয়দ কামাল উদ্দিন লাভলু ছেলে
চকবাজারে অগ্নিকান্ডের ৭০ জনের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের খবির উদ্দিন আগুনে পুড়ে নিহত হয়।জানাযায় যে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের দ: পাড়ার সৈয়দ কামাল উদ্দিন লাভলু ছেলে মো: খবির উদ্দিন ( নাহিদ) ৩৫ নিহত হয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকায় চকবাজারে চাউল ও প্লাস্টিকের ব্যবসা করতেন। নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে সৈয়দ আব্দুল হাই মিল্লাত জানান, তার কাকা ঢাকায় দীর্ঘ দিন প্লাস্টিক ও চাউলের ব্যবসা করতেন।
Leave a Reply